বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বুধবার পশ্চিমবঙ্গের ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন (Assembly By Elections) হচ্ছে। নৈহাটি, হাড়োয়া, সিতাই, মাদারিহাট, মেদিনীপুর এবং তালড্যাংরায় ভোট হচ্ছে আজ। সকাল থেকেই নানান প্রান্ত থেকে আসছে বিক্ষিপ্ত হিংসার খবর। কোথাও পুলিশের সামনেই তৃণমূল নেতার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে, কোথাও আবার আইএসএফ প্রার্থীকে ঘিরে জোড়াফুল শিবিরের সমর্থকদের বিক্ষোভ দেখানোর খবর সামনে এসেছে।
উপনির্বাচনে (Assembly By Elections) বিক্ষিপ্তভাবে উত্তপ্ত বাংলা!
বিধানসভা উপভোটকে কেন্দ্র করে এদিন উত্তপ্ত হয়ে ওঠে হাড়োয়া। আইএসএফ প্রার্থী পিয়ারুল ইসলামকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল (Trinamool Congress) সমর্থকরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে এক পুলিশ কর্মীকে কার্যত হিমশিম খেতে দেখা যায়।
জানা যাচ্ছে, এদিন মহব্বতপুর অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৩৫ নং বুথে সকাল থেকেই নাকি তৃণমূল সমর্থকদের ছাপ্পা ভোট দেওয়ার খবর পাচ্ছিলেন আইএসএফ (ISF) প্রার্থী। সেই খবর পেয়ে সেখানে ছুটে যান তিনি। বুথের ভেতর গিয়ে ভোট কেমন চলছে তার খোঁজখবর নেন। সেখানে আইএসএফের কোনও এজেন্ট ছিল না বলে খবর।
আরও পড়ুনঃ একধাক্কায় ৭% DA বৃদ্ধির ঘোষণা! পুজো মিটতেই লক্ষ্মীলাভ! ঝুলি ভরছে এই সরকারি কর্মীদের
বুথ থেকে বেরনোর সময় পিয়ারুলের ওপর অতর্কিতে তৃণমূল (TMC) সমর্থকরা চড়াও হন বলে অভিযোগ। কার্যত ঘাড়ধাক্কা দিয়ে তাঁকে বুথের বাইরে বের করে আনা হয়। সেই সময় সেখানে পুলিশ, কেন্দ্রীয় বাহিনী কেউ ছিল না বলে খবর। ফলে প্রশ্নের মুখে এসে দাঁড়ায় প্রার্থীর নিরাপত্তা। তৃণমূল সমর্থকরা সংখ্যায় এত বেশি ছিল যে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মী এরপর পরিস্থিতি সামাল দিতে কার্যত হিমশিম খেয়ে যান বলে খবর।
এদিকে আবার কোচবিহারের সিতাইয়ে দেখা যায়, পুলিশের সামনে দাঁড়িয়েই হুমকি দিচ্ছেন তৃণমূল নেতা (Assembly By Elections)! একদিকে উর্দিধারী পুলিশ, অন্যদিকে কেন্দ্রীয় বাহিনী, সেখানে দাঁড়িয়েই হুমকি দেন শাসক দলের নেতা। ঘটনাটি ঘটেছে টারি জুনিয়র হাইস্কুলের বুথে। সেই সময় বিজেপির এজেন্ট বুথের ভেতর বসেছিলেন। পুলিশের সামনে দাঁড়িয়েই তৃণমূল নেতা বলেন, ’৩০ মিনিট সময় দিলাম। না বেরোলে মেরে ফেলব। ৩০ মিনিটের মধ্যে বেরোতে হবে’।