বাংলাহান্ট ডেস্ক : নেসলে, পেপসির (Pepsi) মতো বহুজাতিক সংস্থার বিরুদ্ধে এবার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ! নিম্ন আয় যুক্ত দেশগুলিতে নিম্নমানের পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে সংস্থার তরফে। পণ্যগুলি এটিএনআই এর গ্লোবাল ইনডেক্সে রেটিং সিস্টেমে ৩.৫ এর ঢের কম স্কোর পেয়েছে। অর্থাৎ তা একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয় বলেই জানা যাচ্ছে। একটি সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্টে উঠে এসেছে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য।
রেটিং সিস্টেমে নিম্ন স্কোর নেসলে পেপসির (Pepsi) পণ্যগুলির
অ্যাকসেস টু নিউট্রিশন ইনিশিয়েটিভ ওরফে এটিএনআই এ প্রকাশিত গ্লোবাল ইনডেক্সে অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের হেলথ রেটিং সিস্টেমে অনেক কম স্কোর পেয়েছে এই সমস্ত সংস্থার (Pepsi) পণ্যগুলি। এই হেলথ রেটিং সিস্টেমের নিয়ম অনুযায়ী, ৫ এর মধ্যে ৩.৫ এর উপরে স্কোর পেলে সেই পণ্য স্বাস্থ্যকর বলে বিচার করা হয়। কিন্তু জানলে অবাক হবেন, উচ্চ আয় যুক্ত দেশগুলিতে গড় স্কোর হচ্ছে মাত্র ২.৩ যা কিনা ৩.৫ এর অনেক কম। আর নিম্ন আয়ের দেশে এই স্কোর দাঁড়াচ্ছে মাত্র ১.৮।
সমীক্ষা থেকে উঠে এল ভয়াবহ তথ্য: বিশ্বজুড়ে ৩০ টিরও বেশি দেশে এই সমস্ত বহুজাতিক সংস্থার (Pepsi) বিক্রি হওয়া পণ্যের মূল্যায়ন করা হয়েছে। উচ্চ এবং নিম্ন আয়ের দেশগুলিতে আলাদা আলাদা ভাবে মূল্যায়ন করা হয়েছে। সমীক্ষা থেকে যা তথ্য উঠে আসছে তা রীতিমতো ভয়াবহ। এই গবেষণার পরিচালক মার্ক উইজেন বিশেষত নিম্ন আয়ের দেশগুলির সরকারের কাছে খাদ্য নিরাপত্তার মানের বিষয়ে আরো সতর্ক হওয়ার অনুরোধ করেছেন।
আরো পড়ুন : তৈরি হল নজির! CISF-এ প্রথমবার মহিলা ব্যাটেলিয়ন, নারী ক্ষমতায়নে ঐতিহাসিক পদক্ষেপ কেন্দ্রের
নিম্ন আয়ের দেশেই ব্যবসা বাড়াচ্ছে সংস্থাগুলি: ওই পরিচালকের মতে, সমীক্ষা থেকে এটা স্পষ্ট যে বিশ্বের কম আয়ের দেশগুলিতেই এই বহুজাতিক সংস্থাগুলির আয় বেশি। কিন্তু এই দেশগুলিতে কার্যত নিম্নমানের অস্বাস্থ্যকর খাদ্যপণ্য (Pepsi) বিক্রি করে ব্যবসা বাড়াচ্ছে। অন্যদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, স্থূলতা রোগে আক্রান্ত ১০০ শতাংশ মানুষের মধ্যে ৭০ শতাংশই রয়েছে নিম্ন এবং মধ্যম আয়ের দেশগুলিতে। আর কে না জানে, এই ধরণের অস্বাস্থ্যকর পানীয় গুলি অতিরিক্ত সেবনে স্থূলতা এবং ডায়াবেটিসের মতো রোগের ঝুঁকি বাড়ে দ্রুত।
আরো পড়ুন : জি২০ সম্মেলনে যোগ দিতে ব্রাজিল যাবেন মোদী! সফরসূচিতে রয়েছে এই দেশগুলিও
একটি সমীক্ষা থেকে উঠে আসছে ভারতে ১৫-৪৯ বছরের মধ্যে বহু মানুষ স্থূলতায় আক্রান্ত। নারী এবং পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই সংখ্যাটা সমান। এমনকি শহরাঞ্চলে শিশুদের মধ্যে ৫-৮ শতাংশের বিপজ্জনক ভাবে বেড়ে চলেছে ওজন। এমতাবস্থায় এই ধরণের পানীয়তে লাগাম টানার দিকে সরকারের নজর দেওয়া উচিত বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।