বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ফের এক মামলায় রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করল হাইকোর্ট। স্কুল শিক্ষক (Teachers) ও অশিক্ষক কর্মচারীদের ক্ষেত্রে কি ‘কমপ্যাশনেট গ্রাউন্ড’-এ বা সহানুভূতি-ভিত্তিক (Compassionate Appointment) চাকরি দেওয়া যেতে পারে? এক শিক্ষিকার মৃত্যুতে চাকরি সংক্রান্ত মামলায় এবার রাজ্যের কাছে এই বিষয়ে জানতে চাইল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। ছ’সপ্তাহের মধ্যে এই দিয়ে রিপোর্ট দিয়ে বিস্তারে জানানোর নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
কোন মামলায় এই নির্দেশ?
২০১৮ সালে মৃত্যু হয় উত্তর দিনাজপুরের একটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা হেমা বিশ্বাসের। চাকরিরত অবস্থায় মৃত্যু হয় তাঁর। তাঁর মৃত্যুর উত্তরাধিকারী হন বোন স্বপ্না বিশ্বাস। তিনিই দিদির অবর্তমানে সহানুভূতি-ভিত্তিক চাকরি চেয়ে শিক্ষা দফতরে আবেদন জানিয়েছিলেন। তবে তার আবেদন খারিজ করে দেয় শিক্ষা দফতর। এরপর হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন স্বপ্নাদেবী।
বুধবার বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের এজলাসে এই মামলাটি ওঠে। মামলাকারীর আইনজীবী ফিরদৌস শামিমের বলেন, রাজ্য সরকারি চাকরির বেশিরভাগ পদে ‘কমপ্যাশনেট অ্যাপয়েন্টমেন্ট’ দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। মানবিকতার খাতিরে এই চাকরি দেওয়া হয়। অথচ সরকারি চাকরি হওয়া সত্ত্বেও স্কুলের চাকরির ক্ষেত্রে ওই নিয়ম প্রযোজ্য নয়। সংশ্লিষ্ট পরিবারকে চাকরি দেওয়ার আবেদন জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ফের বজ্রপাত সহ বৃষ্টি! আজ দক্ষিণবঙ্গের কোন কোন জেলা ভিজবে? আবহাওয়ার খবর
এর পরেই বিচারপতি ভট্টাচার্য এ বিষয়ে রাজ্যের ‘অবস্থান’ স্পষ্ট করার নির্দেশ দেন। ছ’সপ্তাহের মধ্যে এই নিয়ে রাজ্যকে রিপোর্ট জমা করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। প্রসঙ্গত, পরিবারের প্রধান রোজগেরের মৃত্যু হলে অনেক ক্ষেত্রে মানবিকতার খাতিরে পরিবারের অন্য কোনো সদস্যকে সেই চাকরি দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। এই ধরনের নিয়োগই হল ‘কমপ্যাশনেট অ্যাপয়েন্টমেন্ট’ বা সহানুভূতি-নিয়োগ।