বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিগত বেশ কিছুদিন ধরেই ট্যাব দুর্নীতিতে (Tab Scam) জেরবার রাজ্য সরকার। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উঠে আসছে ট্যাব কেলেঙ্কারির অভিযোগ। ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়াদের ট্যাব কেনার জন্য যে টাকা দেওয়া হয় তা চলে যাচ্ছে অন্য কারও অ্যাকাউন্টে। ইতিমধ্যেই কলকাতার স্কুল পড়ুয়াদের ট্যাবের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার এই ঘটনায় জমা পড়েছে একাধিক অভিযোগ।
ট্যাব কেলেঙ্কারির (Tab Scam) পর্দাফাঁস
এই দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে তদন্ত। বৃহস্পতিবার ট্যাব দুর্নীতির পর্দা ফাঁস করতেই দশ সদস্যের বিশেষ তদন্তকারী দলের সিট গঠন করেছে কলকাতা পুলিশ। তদন্তকারীদের অনুমান এই ট্যাব কেলেঙ্কারিতে (Tab Scam) উত্তর দিনাজপুরের কোন চক্র জড়িত থাকতে পারে। জানা যাচ্ছে শহরের মোট ন’টি থানা এলাকার ১০টি স্কুলের ১০৭ জন পড়ুয়ার ট্যাবের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারকেরা।
জানা যাচ্ছে ওই টাকার অধিকাংশই তোলা হয়েছে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া ও সংলগ্ন এলাকা থেকে। লালবাজার সূত্রের খবর যে কম্পিউটারের সাহায্যে এই টাকা হাতানো হয়েছে। সেই কম্পিউটারের আইপি এড্রেস উত্তরবঙ্গের ওই এলাকারই। তবে শুধু উত্তরবঙ্গই নয় বেশ কিছু টাকা তোলা হয়েছে বিহারের কিশানগঞ্জ থেকেও।
আরও পড়ুন: ‘লটারি কিং’ সান্তিয়াগো মার্টিনের সাথে যোগ! রাজ্যে শুরু ED-র চিরুনি তল্লাশি
গোয়েন্দাদের দাবি ট্যাব কেলেঙ্কারির মূল উৎসস্থল চোপড়া। তদন্ত নেমে উঠে এসেছে আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যাচ্ছে, এলাকার বাসিন্দাদের অ্যাকাউন্ট কমিশনের ভিত্তিতে ভাড়া নিয়েছিল প্রতারকরা। লালবাজার সূত্রে খবর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ভাড়া নেওয়ার জন্য গ্রামের বাসিন্দাদের ৩০০ টাকা থেকে ৫ হাজার টাকা দিত প্রতারকরা। বয়স্কদের অ্যাকাউন্ট ভাড়া নেওয়ার জন্য দেওয়া হতো ৫ হাজার টাকা।
গোয়েন্দাদের আরও দাবি ভাড়া দেওয়া ওই সমস্ত অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকার ঘন্টা দেড়েকের মধ্যেই ওই সমস্ত টাকা এটিএম থেকে তুলে নিতে জালিয়াতরা। ইতিমধ্যেই এটিএম-এ সিসিটিভি ক্যামেরা ফুটেজ দেখে কৃষ্ণপদ বর্মন এবং শরিফুল ইসলাম নামে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই উঠে এসেছে বেশ কিছু নাম।
যারা ওই চোপড়া এলাকার বাসিন্দাদের অ্যাকাউন্ট ভাড়া নিয়ে এই প্রতারণার কাজ চালাচ্ছিল। মোট ৮ জনের খোঁজে তল্লাশি শুরু হলেও বাকিরা এখনও পলাতক বলেই জানা যাচ্ছে। জানা যাচ্ছে গোয়েন্দাদের তৎপরতায় মোট সাতটি অ্যাকাউন্টের টাকা প্রতারকদের হাতে যাওয়ার থেকে রক্ষা পেয়েছে।