বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মহারাষ্ট্র-ঝাড়খন্ডের নির্বাচন ঘিরে লাগাতার প্রচারের ব্যস্ত রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) থেকে শুরু করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে বিরোধীদের কড়া ভাষায় আক্রমণ শানাতে গিয়ে অনেক সময় বেফাঁস মন্তব্য করে ফেলেন কেন্দ্রীয় নেতা মন্ত্রী-মন্ত্রীরাও। বিজেপির দুই স্টার প্রচারক প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দুজনেই পরিচিত সুবক্তা হিসাবে।
মোদি (Narendra Modi) -শাহের কড়া শাস্তির দাবিতে নির্বাচন কমিশনে কংগ্রেস
এবার তাঁদের বিরুদ্ধেই উঠল ধর্মীয় বিভাজনমূলক মিথ্যা ভাষণ দেওয়ার অভিযোগ। হাত শিবির অর্থাৎ কংগ্রেসের অভিযোগ সম্প্রতি মহারাষ্ট্রে প্রচারে গিয়ে মিথ্যা,বিভাজনমূলক,বিভেদকামী মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তাই এবার খোদ দেশের প্রধানমন্ত্রীর শাস্তির দাবি তুলে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হল কংগ্রেস।
একইসাথে মোদী-শাহের বিরুদ্ধে কড়া শাস্তি মূলক পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছে কংগ্রেস। এদিন নির্বাচন কমিশনে কংগ্রেসের তরফে যে অভিযোগপত্রে জমা করা হয়েছে সেখানে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) কংগ্রেস এবং জোট সঙ্গীদের নিয়ে লাগাতার মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিমূলক প্রচার করে চলেছন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও মহারাষ্ট্রে গিয়ে বিভাজনমূলক প্রচার করে এসেছেন। তাই বিজেপির এই দুই প্রধান সেনাপতিকে এবার মহারাষ্ট্র এবং ঝাড়খন্ডের ভোট প্রচারে নিষিদ্ধ করতে হবে বলে দাবি জানিয়েছে কংগ্রেস। ইতিমধ্যে দলের তরফ থেকে একটি চিঠিও পাঠানো হয়েছে। সম্প্রতি মহারাষ্ট্রের ভোট প্রচারে গিয়ে নরেন্দ্র মোদিকে বলতে শোনা গিয়েছিল,’গত ১০ বছর ধরে একজন ওবিসি প্রধানমন্ত্রী দেশ চালাচ্ছে। এটাই কংগ্রেস সহ্য করতে পারছে না।’
আরও পড়ুন: সর্ষের মধ্যেই ভূত! ট্যাব-দুর্নীতিতে ধৃতদের সাথে তৃণমূল যোগ? রহস্যজনক ফোন আসতেই…
সেই সাথে পাকিস্তানের প্রসঙ্গ টেনে এনে মোদী বলেছিলেন পাকিস্তানের এজেন্ডায় সাড়া দিয়ে দেশে বিভাজন আনার চেষ্টা করছে কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা। একইসঙ্গে দুর্নীতি ইস্যুতেওও কংগ্রেসকে আক্রমণ শানিয়ে মোদির দাবি ছিল যেখানে কংগ্রেস সরকার গঠিত হয় সেই রাজ্য কংগ্রেস রাজ পরিবারের এটিএম হয়ে যায়।
উদাহরণ হিসেবে মোদি বলেন আজকাল হিমাচল তেলেঙ্গানা এবং কর্নাটকের মধ্যে রাজ্যগুলি কংগ্রেস রাজ পরিবারের এটিএম হয়ে উঠেছে। শুধু তাই নয় রাজীব গান্ধী, কিংবা জহরলাল নেহেরুর নাম নিয়েও একাধিক অভিযোগ শোনা গিয়েছে মোদির গলায়। কংগ্রেসের দাবি এই সমস্ত অভিযোগ ভুয়ো এবং বিভ্রান্তিকর। এদিন এই একই অভিযোগ তোলা হয়েছে অমিত শাহের বিরুদ্ধেও।