বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তিনি। তেরো থেকে তিরাশি, সকলে যাতে ভালো থাকে সেদিকে নজর থাকে তাঁর। এবার যেমন এক গরিব ছাত্রের জন্য মানবিক পদক্ষেপ নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। চুঁচুড়ার দক্ষিণ নলডাঙা নিবাসী সাগর কর্মকারের (১০) জীবনে ত্রাতা হয়ে দাঁড়ালেন তিনি।
চুঁচুড়ার কিশোরের জন্য কী করলেন মমতা (Mamata Banerjee)?
বছর খানেক আগে মায়ের সঙ্গে বাইরে খেলতে গিয়ে দুর্ঘটনায় জখম হয় সাগর। মোটর বাইকের সঙ্গে সংঘর্ষের জেরে ভেঙে যায় ওই কিশোরের পা। তখন চুঁচুড়ারই একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয় তাঁকে। রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের (Swasthya Sathi Card) মাধ্যমে অস্ত্রোপচার করে পায়ে প্লেট বসানো হয়।
জানা যাচ্ছে, সাগর নামের ওই কিশোরের হাঁটাচলা করতে খানিকটা সমস্যা হচ্ছিল। সম্প্রতি পা থেকে প্লেট বের করার জন্য ফের সাগরকে ওই নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে তখন জানা যায়, স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের মাধ্যমে এই অস্ত্রোপচারের জন্য কোনও আর্থিক সুবিধা নেই। এই অবস্থায় তাঁদের পাশে দাঁড়ান মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee), বাড়িয়ে দেন সাহায্যের হাত।
আরও পড়ুনঃ শ্মশানকালী মন্দিরের জমি দখল! তৃণমূল ‘ঘনিষ্টের’ কাণ্ড শুনে স্তম্ভিত হাইকোর্ট, এল বিরাট নির্দেশ
সাগরের বাবা দিনমজুর। অস্ত্রোপচারের বিপুল খবর তাঁর পক্ষে দেওয়া সম্ভব ছিল না। ওই কিশোরের পরিবার তখন চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদারের (Asit Majumdar) দ্বারস্থ হন। তাঁকে সমস্যার কথা খুলে বলেন সাগরের মা মিনতি। এরপর বিধায়কই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরর ডিপার্টমেন্টে চিঠি লেখেন। সেখান থেকে চুঁচুড়ার সংশ্লিষ্ট নার্সিংহোমে চিঠি আসলে ওই কিশোরের পায়ের অস্ত্রোপচার হয়।
তৃণমূল (Trinamool Congress) বিধায়ক অসিত বলেন, ‘আমার কাছে কিশোরের পরিবার এসেছিল। স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে অস্ত্রোপচার হয়েছে, তবে ভেতরে প্লেট আছে। সেটা স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে বের করা যাবে না। দল মত নির্বিশেষে আমাদের কাছে মানুষ এলে আমরা সাহায্য করি। আমি সেই মতো মুখ্যমন্ত্রীর ডিপার্টমেন্টের কাছে চিঠি লিখে দিয়েছিলাম। সেখান থেকে চুঁচুড়ার অজন্তা নার্সিংহোমে চিঠি আসে ও তারা ওই কিশোরের অস্ত্রোপচার করে। সার্জারি সফল হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর রিলিফ ফান্ড থেকে তারা টাকা পায়’।
বেসরকারি ওই নার্সিংহোম সূত্রে খবর, চলতি নভেম্বর মাসের ১০ তারিখ নার্সিংহোমে ভর্তি হয়েছিল সাগর। এরপর অস্ত্রোপচার করে তাঁর পা থেকে প্লেটটি বের করা হয়। দু’দিন ভর্তি থাকার পর সাগরকে নার্সিংহোম থেকে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) রিলিফ ফান্ড থেকে তাদের টাকা দিয়ে দেওয়া হয়।