বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ওপার বাংলার (Bangladesh) সাথে ভারতের যোগাযোগের রাস্তা আগামী দিনে আরো সুগম হতে চলেছে। অবশেষে শুরু হয়েছে বালুরঘাট-হিলি রেললাইন সম্প্রসারণের কাজ। একসময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন তখন তাঁরই উদ্যোগে শুরু হয়েছিল বাংলাদেশের (Bangladesh) সাথে বালুরঘাট রেললাইন সম্প্রসারণের কাজ।
বাংলাদেশের (Bangladesh) সাথে রেল যোগাযোগ নিয়ে বড় আপডেট
আজ থেকে এক দশক আগের কথা, সেসময় জোর কদমে শুরু হয়েছিল রেল লাইন সম্প্রসারণের কাজ। কিন্তু কাজ শুরু হলেও সেসময় আচমকাই থমকে গিয়েছিল রেল প্রকল্পের কাজ। মাঝে কেটে গিয়েছে দীর্ঘ ১২ বছর। অবশেষে বালুরঘাটের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের উদ্যোগে আবার শুরু হয়েছে বালুরঘাট-হিলি রেল লাইন সম্প্রসারণের কাজ।
ইতিমধ্যেই তিনি কেন্দ্র থেকে এই প্রকল্পের জন্য নতুন করে টাকা বরাদ্দ করিয়েছেন। কিছুদিন আগেই শুরু হয়েছে জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া। যদিও সেখানেও তৈরি হয় জটিলতা। কিছুদিন আগেই শুরু হয়ে যায় জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া। সেখানেও জটিলতা তৈরী হওয়ায় রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী।
জানা যাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত সব জমি অধিগ্রহণ শেষ না হলেও অবশেষে বন্ধ থাকা রেল প্রকল্পের কাজ আবার নতুন করে শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে বালুরঘাট ব্লকের খিদিরপুর এলাকার রেলের ফাঁকা জমি অধিকরণ করার কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে। মাটি কাটা মেশিন দিয়ে ভাঙা হচ্ছে ঘরবাড়িও।
আরও পড়ুন: ১৮ হাজার থেকে সোজা ৩৫ হাজার! বাড়ছে সরকারি কর্মীদের নূন্যতম বেতন? বড় খবর
কেউ কেউ আবার নিজে থেকেই সমস্ত বাড়ি ঘর ভেঙে নিচ্ছেন। খুব তাড়াতাড়ি শুরু হবে ব্রিজ তৈরির কাজ। জানা গিয়েছে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের তরফ থেকে রেলের জন্য যে টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে ওই টাকাদিয়েই জমি অধিগ্রহণের কাজ চলছে।
জানা যাচ্ছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রশাসনের তরফে ইতিমধ্যেই ৩০ % জমি রেলের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে খিদিরপুর বেশ কিছু জমিও রয়েছে। আত্রেয়ী নদীর উপর খুব তাড়াতাড়ি বালুরঘাট রেল ব্রিজে তৈরির কাজ শুরু হতে চলেছে। এছাড়াও এই নদীর আরেক পাশে রয়েছে বেশ কিছু বসত বাড়ি। তাদের কাছেও ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে জমি হস্তান্তরের টাকা। আগামীদিনে এই রেলপথ ভারত-বাংলাদেশের যোগযোগ ব্যবস্থায় নতুন দিগন্ত খুলে দিতে চলেছে।