বাংলাহান্ট ডেস্ক : সরকারি হাসপাতালে (Government Hospital) গাফিলতির চরম চিত্র। বিহারের পটনার সরকারি হাসপাতালে (Government Hospital) গুলিতে জখম হওয়া এক ব্যক্তির চিকিৎসা চলছিল। কিন্তু ব্যক্তিকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। আর তারপরই মৃতদেহ থেকে উধাও হয়ে যায় একটি চোখ! অদ্ভূত ভাবে ব্যক্তির বাড়ির লোকেরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুললে তাঁদের পালটা দাবি, ইঁদুরে খুবলে নিয়েছে চোখ!
সরকারি হাসপাতালে (Government Hospital) খোয়া গেল মৃতদেহের চোখ!
সূত্র মারফত খবর, মৃত ব্যক্তির নাম ফান্টুস কুমার। বিহারের নালন্দার বাসিন্দা ওই ব্যক্তির পেটে গুলি লাগলে তাঁকে নিয়ে আসা হয় পটনার দ্বিতীয় বৃহত্তম হাসপাতাল (Government Hospital) নালন্দা মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালে। তাঁকে ভর্তি করা হয় আইসিইউতে। কিন্তু শুক্রবার রাত ৮ টা ৫৫ নাগাদ মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির। তার কিছুক্ষণ পরেই খোয়া যায় ব্যক্তির একটি চোখ!
পরিবারের অভিযোগ হাসপাতালের বিরুদ্ধে: মৃতের পরিবারের সদস্যরা গুরুতর অভিযোগ এনেছেন হাসপাতালের (Government Hospital) বিরুদ্ধে। তাঁদের অভিযোগ, হাসপাতালের চিকিৎসকরাই মৃতদেহ থেকে চোখ খুলে নিয়ে বিক্রি করে দিয়েছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, শনিবার ভোর রাত পর্যন্ত হাসপাতালে (Government Hospital) ব্যক্তির মৃতদেহের কাছে বসেছিলেন। তবে তারপর কিছুক্ষণের জন্য তাঁরা বাইরে গিয়েছিলেন। সেই সমমেই এই কাণ্ড ঘটানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তাঁরা।
আরো পড়ুন : ‘শক্তিমান একজনই, আর সেটা আমি’, রণবীর নন, সিনেমাতেও ব্যাটন ধরবেন মুকেশ-ই?
পালটা দাবি কর্তৃপক্ষের: মৃতের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, হাসপাতালে কর্মরত কেউই মৃতদেহ থেকে চোখ খুলে নিয়েছেন বিক্রি করার উদ্দেশ্যে। কিংবা ওই ব্যক্তির আততায়ীই কোনো ভাবে হাসপাতালে (Government Hospital) ঢুকে এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন। অপর দিকে হাসপাতালের দাবি, ইঁদুরে নাকি খুবলে নিয়েছে চোখ। ইতিমধ্যেই পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে ঘটনায়। খতিয়ে দেখা হচ্ছে সিসিটিভি ফুটেজ।
আরো পড়ুন : ডিসেম্বরেই ছিল বিয়ের প্ল্যান, সুরভীকে ভুলে এবার শার্লির সঙ্গে প্রেমে শিলমোহর অভিষেকের!
এদিকে এই ঘটনার পর থেকে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, ওই ব্যক্তির চিকিৎসা চলছিল আইসিইউতে। সেখানে ঢুকে এই কাজ কেউ কীভাবে করতে পারে! আবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি অনুযায়ী, যদি ইঁদুর চোখ নিয়ে গিয়ে থাকে তাহলেও তার জন্য দায় নিতে হবে হাসপাতালকেই। তবে এই দুর্ঘটনা কীভাবে ঘটেছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।