ইন্টারনেট না থাকায় চরম দুর্ভোগ! আবাস যোজনা থেকে বাদ গোটা গ্রাম

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কেন্দ্রীয় সরকারের অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি প্রকল্প হল আবাস যোজনার (Awas Yojana) প্রকল্প। একটা সময় বাংলায় এই প্রকল্প শুরু হলেও, বিগত  প্রায় ২ বছর ধরে রাজ্যকে এই প্রকল্পের টাকা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্র। যদিও এবার নিজের নিজস্ব উদ্যোগেই এই প্রকল্প শুরু করতে চলেছে রাজ্য সরকার। রাজ্যজুড়ে কয়েক লক্ষ গ্রাহক এই প্রকল্পের টাকায় উপকৃত হলেও আবাস যোজনার (Awas Yojana) প্রকল্প থেকে বাদ পড়েছে একটা গোটা গ্রাম। কথা হচ্ছে রামপুরহাট ১নম্বর ব্লকের তিলডাঙা গ্রামের বাসিন্দাদের নিয়ে।

আবাস যোজনা (Awas Yojana) থেকে বাদ গোটা গ্রাম

এই গ্রামের আনাচে কানাচে স্পষ্ট অভাবের ছবি। এসবের মধ্যেই দীর্ঘদিন ধরে গ্রামের ইন্টারনেট না থাকায় ‘জিও ট্যাগিং’-এর অভাবে ২০১৮ সালের আবাস যোজনার (Awas Yojana) সমীক্ষার সময় জিও ট্যাগিং করা যায়নি। এই কারণেই একটা গোটা গ্রাম বাদ গিয়েছে এই আবাস যোজনা প্রকল্পের তালিকা থেকে।

সমস্যার সমাধান চেয়ে বারবার প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েও আশ্বাস ছাড়া আর কিছুই পাননি গ্রামবাসীরা। এবারও নাকি অপেক্ষা করার কথাই বলেছে জেলা প্রশাসন। জানলে অবাক হবেন কিছুদিন আগেই নাকি পাহাড়-জঙ্গলে ঘেরা পুরুলিয়া ২ ব্লকের বেলমা পঞ্চায়েতের দুবরাজপুর গ্রামে বাঁশের মাথায় ব্যাগে মোবাইল বেঁধে ‘হটস্পট’ চালু করে জিয়ো ট্যাগিং করে আবাসের সমীক্ষার কাজ হয়েছে।

প্রসঙ্গত তিলডাঙ্গা গ্রামে প্রায় ৮০-৯০টি আদিবাসী পরিবারের বাস। গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন ইন্টারনেট না মেলায় ২০১৮ সালের সমীক্ষায় বাদ যাওয়ার পরে, ২০২২ সালে বিডিও-র কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছিল। যদিও তখনও শুধুই আশ্বাস দিয়েছিল প্রশাসন। এ বারও বিডিও-র কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টে কবে DA মামলার পরবর্তী শুনানি? সামনে নয়া আপডেট

এ প্রসঙ্গে গ্রামবাসীদের দাবি তারা একাধিকবার দুয়ারে সরকার থেকে শুরু করে দিদিকে বলো’তে আবেদন জানিয়েছেন। কিন্তু কোন লাভ হয়নি। অথচ   পাশের গ্রাম নারায়ণপুর পঞ্চায়েতের নতুন পাড়া গ্রামেই আবাস তালিকায় জায়গা পেয়েছে। তবে শুধুমাত্র ‘জিও ট্যাগিং’-এর অভাবে আবাস যোজনা তালিকার নাম না ওঠা শুধুমাত্র সরকারি ব্যবস্থার গাফিলতি ছাড়া কিছুই নয় বলেই দাবি করা হচ্ছে।

Awas 1

সেইসাথে প্রশ্ন উঠছে এর জন্য গোটা গ্রাম কেন বঞ্চিত হবে? কোনরকম আশ্বাস না দিয়েই রামপুরহাট ১ বিডিও অঙ্কুর মিত্র জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা স্মারকলিপি দিয়েছেন। ২০১৮ এর তালিকা ধরে কাজ হচ্ছে। যারা যোগ্য হলেও তালিকায় নাম নেই তাদের আবেদন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাচ্ছি। এখনই আমাদের কিছু করার নেই। ওদিকে বিজেপির সাংগঠনিক জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা জানিয়েছেন এর ভিতরে কোন চক্রান্ত আছে কিনা সেটাই তদন্ত করে দেখবেন তারা।

Anita Dutta
Anita Dutta

অনিতা দত্ত, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৪ বছরের বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতা পেশার সাথে যুক্ত।

সম্পর্কিত খবর