‘সবচেয়ে খারাপ…’ রামপুরহাটে গিয়ে রনংদেহি তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়, হঠাৎ কি হল?

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করেই এখন থেকে একের পর এক ঘুঁটি সাজাতে শুরু করেছে রাজনৈতিক দলগুলি।  তালিকায় রয়েছে তৃণমূলের হেভিওয়েটরাও। সোমবারেই রামপুরহাটে বুথ কর্মীদের নিয়ে একটি সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখান থেকেই তৃণমূলের নেতাকর্মীদের ওপর ক্ষোভ উগরে দিলেন বীরভূমের তৃণমূল সংসদ শতাব্দী রায় (Satabdi Roy)।

খারাপ ফল নিয়ে দলের নেতা-কর্মীদের একহাত নিলেন শতাব্দী Satabdi Roy)

তাঁর ক্ষোভের কারণ গত লোকসভা নির্বাচনে রামপুরহাটের খারাপ ফল। গত নির্বাচনে এই রামপুরহাট কেন্দ্র থেকে কোনো লিডই পাইনি তৃণমূল কংগ্রেস। তাই ২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনের কথা মনে করিয়ে দিয়ে দলের নেতা-কর্মীদের এদিন একেবারে কড়া ডোজ দিয়ে গেলেন তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী  (Satabdi Roy)। একই সাথে  এদিন তিনি প্রশ্ন তুললেন দলের অনেক পুরনো নেতা আশীষ বন্দ্যোপাধ্যায় থাকা সত্ত্বেও তৃণমূলের ফল এত খারাপ হলো কি করে?

লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে এদিন শতাব্দি (Satabdi Roy) বলে ওঠেন  বীরভূমের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ রেজাল্ট হয়েছে রামপুরহাটের। অথচ এখানে আশীষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো সিনিয়র একজন নেতা রয়েছেন। তা সত্বেও এই শহরে এত খারাপ ফল হলো কি করে? তা বোঝা সম্ভব হচ্ছে না।

আরও পড়ুন: সব রোগের ওষুধ আদালতে নেই! সুপ্রিম কোর্টে ‘ধাক্কা’ খেল নেতাজি অন্তর্ধান রহস্য

একই সাথে দলের অন্যান্য নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে শতাব্দী বলেছেন অন্যদের ফল ভালো হয়েছে, না খারাপ হয়েছে দেখে নিজেদের ফলটা আগে ভালো করে দেখতে হবে। প্রসঙ্গত রামপুরহাট কেন্দ্রকে বরাবরই তৃণমূলের শক্ত ঘাটে হিসেবে ধরা হয়। রাজ্যে ক্ষমতায় আসার আগে থেকেই এই রামপুরহাট তৃণমূলের দখলে রয়েছে।

Satabdi Roy

কিন্তু তারপরেও আজ পর্যন্ত এই রামপুরহাটে কখনও ভালো রেজাল্ট হয়নি তৃণমূলের। লোকসভা নির্বাচনেও একই ছবি ধরা পড়ে। গত লোকসভা নির্বাচনে ৭ হাজার কম ভোট পেয়েছিলেন শতাব্দি।

একই সাথে ২০২৬ এর বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে আগাম সতর্কবার্তা দিয়ে শতাব্দীর হুঁশিয়ারি ২০২৬ সালে হেরে গেলে চলবে না। এখানে ভালো ফল করতেই হবে। তবে এদিন শতাব্দি রায় আশীষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম করে সতর্ক করলেও এটিকে ব্যক্তিগত আক্রমণ বলে মনে করছেন না বিধায়ক নিজেও।

Anita Dutta
Anita Dutta

অনিতা দত্ত, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৪ বছরের বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতা পেশার সাথে যুক্ত।

সম্পর্কিত খবর