বাংলাহান্ট ডেস্ক : একেই বলে ভাগ্যের পরিহাস! নিজের প্রাণের পরোয়া না করে তিনি ছুটে গিয়েছিলেন হাসপাতালে (Hospital) শিশুদের আগুনের গ্রাস থেকে উদ্ধার করতে। উদ্ধার করতে সক্ষমও হয়েছিলেন ৭ জন শিশুকে। কিন্তু নিজের দুই সন্তানকেই বাঁচাতে পারলেন না। আগুন, ধোঁয়ার মাঝে পড়ে মৃত্যু হল দুই যমজ শিশুর।
হাসপাতালের (Hospital) এনআইসিইউতে ভয়ঙ্কর আগুন
ঘটনাস্থল উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসি মহারানি লক্ষ্মীবাই মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতাল (Hospital)। শুক্রবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ এই হাসপাতালের এনআইসিইউ তে ভয়াবহ আগুন লাগে। ভেতরে তখন ছিল ৪৭ জন শিশু। সব শিশুরাই ঘুমোচ্ছিল। ইয়াকুব মনসুরির দুই যমজ সন্তানও ছিল ভেতরেই। সন্তানদের ঘুম পাড়িয়ে তিনি বসেছিলেন হাসপাতালের (Hospital) বাইরে।
অন্য শিশুদের উদ্ধার করেন ব্যক্তি: আগুন লেগেছে অন্য সব বাবা মাদের মতো তিনিও ছুটে গিয়েছিলেন সন্তানদের বাঁচাতে। কিন্তু ভেতরে আগুনের কারণে এতই ধোঁয়া ছিল যে কেউই ভেতরে যেতে পারছিলেন না। নিজের সন্তানদের ওয়ার্ডে ঢুকতে গিয়েও পারেননি ইয়াকুব। তখনই তিনি অন্য শিশুদের উদ্ধার করতে তৎপর হন। অন্য ওয়ার্ডের কাঁচ ভেঙে ৭ জন শিশুকে উদ্ধার করেন ইয়াকুব। হাসপাতালের (Hospital) নার্স এবং চিকিৎসকদের সহযোগিতায় আরো কয়েকজন শিশুকে উদ্ধার করা সম্ভবপর হয়। কিন্তু নিজের সন্তানদেরই আর বাঁচাতে পারেননি ইয়াকুব।
আরো পড়ুন : জানুয়ারিতে ভারতে পরপর উৎসব, নাইজেরিয়ায় প্রবাসী ভারতীয়দেরকে আমন্ত্রণ জানালেন স্বয়ং মোদী
নিজের সন্তানদেরই বাঁচাতে পারলেন না: যতক্ষণে দমকল এসে পৌঁছায় ততক্ষণে তাঁর দুই যমজ সন্তানের মৃত্যু হয়েছে। বাবাই শণাক্ত করেন সন্তানদের দেহ। আগুনে ঝলসে মৃত্যু হয় আরো ১০ জন শিশুরও। ইয়াকুব বলেন, আগুনের হলকানি এবং ধোঁয়ার তীব্রতায় শিশুদের উদ্ধার করা সম্ভবই ছিল না। সবাই নিজের সন্তানদের বাঁচানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু কেউ পারছিলেন না। তিনি নিজেও নিজের মেয়েদের ওয়ার্ডে (Hospital) ঢুকতেই পারেননি।
আরো পড়ুন : তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ চান বাইডেন? দিলেন মার্কিন অস্ত্র ব্যবহারে অনুমতি, রাশিয়ায় হামলার পথে ইউক্রেন
অন্য শিশুদের বাঁচিয়ে ‘দেবদূত’ হতে পারলেও নিজের দুই কন্যা সন্তানকেই বাঁচাতে পারেননি ইয়াকুব। তিনি বলেন, শুধু নিজের সন্তানদের জন্য নয়, প্রত্যেকটা শিশুর জন্য বিচার চান তিনি।