তৃণমূলের গৃহযুদ্ধ! কল্যাণের ‘মাথায় কার হাত!’ মন্তব্যের পাল্টা দিলেন তৃণাঙ্কুর

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য দুজনেই একই দলের অনুগত সৈনিক। একজন সাংসদ তো অন্যজন তৃণমূল (Trinamool Congress) ছাত্র পরিষদের সভাপতি। প্রসঙ্গত আরজিকর কান্ডের পর থেকে রাজ্য জুড়ে তৃণমূলের (Trinamool Congress) ভাবমূর্তির ওপর বিরাট প্রভাব পড়েছে। অভিযোগ উঠেছে মেডিকেল কলেজগুলির অন্দরের থ্রেট কালচার নিয়েও।

কল্যাণের মন্তব্যের পাল্টা দিলেন টিএমসিপির (Trinamool Congress) সভাপতি তৃণাঙ্কুর

আরজিকর কান্ডের পর ইতিমধ্যেই রাজ্যের একাধিক মেডিকেল কলেজের বিরুদ্ধেও থ্রেট কালচারের অভিযোগ করা হয়েছে। কিন্তু এত কিছুর পরেও তৃণমূলের (Trinamool Congress) ছাত্র পরিষদের সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যের মুখে শোনা যায়নি একটিও বাক্য। দলের একাংশ যে বিষয়টা একেবারেই ভালো চোখে দেখেননি একথাই এদিন স্পষ্ট হল কল্যাণ বন্দোপাধ্যায়ের মন্তব্য থেকে।

এদিন ডোমজুড় উৎসবের মঞ্চ থেকেই সরাসরি তৃণাঙ্কুরকে নিশানা করেই কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন তোলেন, ‘টিএমসিপি-র এতগুলো ছেলে সাসপেন্ড হয়ে গেল, আর টিএমসিপির সভাপতির মুখ থেকে কোনও কথা নেই। অবিশ্বাস্য। আমি ভাবতে পারছি না। কার আশীর্বাদের হাত এর মাথায় আছে যে এখনও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি থাকে?’

আরও পড়ুন: দু’দিনেই বড় বদল! আজ কেমন থাকবে দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া? আবহাওয়ার খবর

একই দলের সাংসদ হয়ে খোলা মঞ্চ থেকে দলের ছাত্র সংগঠনের সভাপতির উদ্দেশ্যে কল্যাণ বন্দোপাধ্যায় এই প্রশ্ন ছুঁড়ে দিতেই ব্যাপক জল ঘোলা শুরু হয় রাজনৈতিক মহলে। গোটা একটা দিন এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি তৃণাঙ্কুর।

TMC 6

তারপরেই নীরবতা ভেঙে কল্যাণ বন্দোপাধ্যায়ের মন্তব্য প্রসঙ্গে টিএমসিপির সভাপতির জবাব, ‘দল নিশ্চিতভাবে হিসাব রাখছে। বিচার করবে। দিদি আছেন, অভিষেকদা আছেন। আমি এমন কিছু বলতে চাই না, যাতে দল বদনাম হবে। আমি দলের একজন অনুগত সৈনিক। আমি চাইব, তিনি ভাল থাকুন। সুস্থ থাকুন।’

Anita Dutta
Anita Dutta

অনিতা দত্ত, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৪ বছরের বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতা পেশার সাথে যুক্ত।

সম্পর্কিত খবর