এবার রাজ্যে ১০০ টাকা ছাড়াবে পেঁয়াজের দাম? নয়া আপডেট আসতেই মাথায় হাত মধ্যবিত্তের

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পেঁয়াজ কাটতে গিয়ে নয়, বর্তমানে পেঁয়াজ কিনতে গিয়েও চোখে জল আসছে মধ্যবিত্তের। সবজির বাজারে যেন আগুন। সবকিছুরই দাম উর্দ্ধমুখী। আর সেই তালিকার শীর্ষে পেঁয়াজ (Onion Price)। সেই অগস্ট মাস থেকে বেড়েই চলেছে পেঁয়াজের দাম। আগে পেঁয়াজ প্রতি কেজি দর ছিল ৫০ টাকা। বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে সেই দাম হয়েছে ৭০-৮০ টাকা। রাজ্যের (West Bengal) কোনো কোনো জায়গায় তো পেঁয়াজের দাম একশো টাকাও ছুঁয়েছে। যার জেরে চিন্তায় কপালে ভাঁজ পড়েছে মধ্যেভিত্তের।

এদিকে আলুও কিছু কম যায় না। প্রতি কেজি আলু ৩৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। কোথাও কোথাও দাম বেড়ে হয়েছে ৪০ টাকা। আগেও বহুবার আলুর দাম কমানোর জন্য নানা চেষ্টা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তার কথাতেও কাজ হয়নি। রাস্তায় নেমে টাস্ক ফোর্সকে কাজ করার নির্দেশ দিলেও নিটফল শূন্য!

এমনিতেই পুজোর পর প্রতিবছরই আলু, পেঁয়াজের দাম অনেকটা বাড়ে। কৃষি বিপণন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে সেপ্টেম্বর মাসে অতিবৃষ্টির জেরে মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ-সহ ভিন রাজ্যে প্রচুর পরিমাণে পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। মাথায় হাত পড়েছে চাষীদের। প্রতিবারের তুলনায় মহারাষ্ট্রের নাসিকের পেঁয়াজ অনেক কম এসেছে এবারে। যার জেরে খুচরো বাজারে হুড়মুড়িয়ে বেড়েছে পেঁয়াজের দাম।

এই পরিস্থিতিতে টাস্ক ফোর্সের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। গোটা বিষয়ে রাজ্য টাস্ক ফোর্সের সদস্য কমল দে বলেন, ‘‌এই রাজ্যে প্রত্যেক মাসে দেড় লক্ষ টন পেঁয়াজের চাহিদা রয়েছে। এদিকে চাহিদার তুলনায় অর্ধেকের থেকেও কম পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে।’ এই অবস্থায় পেঁয়াজের দাম ভবিষ্যতে আরও বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা তৈরী হচ্ছে।

উল্লেখ্য, রাজ্যে যে পরিমাণ উৎপাদিত পেঁয়াজ মজুত রয়েছে চাহিদার তুলনায় তার পরিমাণও খুব কম। খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও উদ্যান পালন দফতর সূত্রে খবর, রাজ্যে বর্তমানে বছরে প্রায় ১৩ লক্ষ মেট্রিক টন পেঁয়াজের চাহিদা রয়েছে। সম্প্রতি পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে ভিন রাজ্যের ওপর নির্ভরতা কম করতে জেলায় জেলায় উৎপাদন এবং সংরক্ষণের উপর জোর দিয়েছে রাজ্য (Government of West Bengal)।

west bengal

আরও পড়ুন: ‘DA বৃদ্ধিতে আর কোনো সমস্যা..,’ বিভাগীয় প্রধানদের নির্দেশ, রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য সুখবর

সূত্রের খবর, রাজ্যে পেঁয়াজের উৎপাদন ও সংরক্ষণের জন্য পশ্চিমাঞ্চলের ৬ জেলার ৭ হাজার বিঘা জমিকে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেই জমিতে অর্থকরী ফসল হিসেবে আগামী খরিফ মরশুম থেকে শুরু হয়ে যাবে পেঁয়াজের চাষ। আর তা সংরক্ষণ করতে তৈরী হবে গোলা। ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে পদক্ষেপও করেছে রাজ্য সরকার। এদিকে আলুর মূল্যও ক্রমশ উর্দ্ধমুখী। আলুর দাম কবে কমবে সেই নিয়েও শঙ্কা রয়েছে।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর