বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সোমবার আদিবাসী ও পিছিয়ে পড়া জনজাতির জন্য উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক ছিল নবান্নে। সেখান থেকে বড় নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, যোগ্যরা যাতে কোনওভাবেই বঞ্চিত না হয়। যোগ্যদের হাতে জাতি শংসাপত্র পৌঁছে দিতে হবে। যাতে সবাই কাস্ট সার্টিফিকেট হাতে পান তা সুনিশ্চিত করতে হবে।
এদিন বৈঠকে ডাক পেলেও সায় দেননি আদিবাসী সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি তথা মালদহ উত্তরের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু। যা নিয়ে বেশ বিতর্কও হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের খাদ্য প্রতিমন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডি। তিনি জানান, আদিবাসীদের মধ্যে অনেকেরই সরকারি প্রকল্পগুলি সম্পর্কে সঠিক ধারণা নেই। সে গুলি যাতে ঠিকমতো প্রচার করা হয় সেদিকে নজর দিতে হবে। এই বিষয়ে বিডিওদের সেই দায়িত্ব নিতে হবে বলে জানান জ্যোৎস্না মান্ডি।
রাজ্যে পর্যটন শিল্পের বিকাশে জঙ্গলমহল এবং সুন্দরবনকে গুরুত্ব দিয়ে হোম স্টের উপর গুরুত্ব দিচ্ছে রাজ্য। এক্ষেত্রে গতকালের বৈঠকে হোম স্টে নিয়ে কিছু অসুবিধার বিষয় উঠে আসে। বলা হয়, আদিবাসী গ্রামগুলিতে বাইরে থেকে মানুষজন এসে হোম স্টে তৈরি করছেন। কিন্তু তাতে সেখানকার আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষের লাভ বা সুবিধা কিছুই হচ্ছে না।
আরও পড়ুন: সুদের হার কমিয়ে আমজনতাকে স্বস্তি দিতে মরিয়া কেন্দ্র! ব্যাঙ্কের ঋণ নিয়ে এবার যা বললেন অর্থমন্ত্রী…
বৈঠকে বলা হয়, সেখানকার যারা হোম স্টে তৈরি করতে ইচ্ছুক তাদের যদি সরকারি অনুদান দিয়ে সাহায্য করা যায় তাহলে তাদের সেখানকার মানুষের উপকার হয়। রাজ্যে পর্যটন শিল্পের বিকাশের জন্য জঙ্গলমহল এবং সুন্দরবনকে স্পেশ্যাল ক্যাটাগরির আওতায় আনা হয়েছে। রাজ্যকে মোট পাঁচটি জোনে ভাগ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: তৃণাঙ্কুর জমানার অবসান! তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নয়া সভাপতি হচ্ছেন সুদীপ রাহা? জল্পনা তুঙ্গে
সেই পাঁচ বিশেষ জোনের মধ্যেই রয়েছে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, উত্তর এবং দক্ষিণ দিনাজপুর। এদিকে পর্যটন শিল্পে অক্সিজেন জোগাতে অন্যদিকে এই সব এলাকায় স্থানীয়দের আয় বাড়ানোর উদ্দেশে হোম-স্টের উপর জোর দিচ্ছে সরকার। ওই সমস্ত এলাকায় হোম-স্টে গড়ে তোলা হলে, সরকার বাড়তি সুযোগ সুবিধাও প্রদান করবে।