বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আইন সবাইকে রক্ষা করার জন্যই। কিন্তু এই আইনেরই অপব্যবহার করেন অনেকে। যার ফল ভোগ করতে হয় কিছু নির্দোষ মানুষদের। তাই সম্প্রতি ধর্ষণের মতো একটি মামলায় যুগান্তকারী রায় ঘোষণা করল শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। বছর পাঁচেক আগে প্রাক্তন প্রেমিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মতো জঘন্য অভিযোগ নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল প্রেমিকা।
ধর্ষণের মামলায় যুগান্তকারী রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)
প্রাক্তন প্রেমিকের বিরুদ্ধেবিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করার অভিযোগ জানিয়েছিলেন ওই মহিলা। আদালতে ওই অভিযোগের ভিত্তিতেই সাবেক ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬(২)(এন) ধারায় একাধিক বার ধর্ষণের মামলা দায়ের হয়েছিল। প্রথমে এই মামলাটি উঠেছিল দিল্লিরই এক নিম্ন আদালতে। পরে এই মামলা খারিজের আবেদন নিয়ে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিযুক্ত।
সেই সময় অবশ্য দিল্লি হাইকোর্ট জানিয়ে দিয়েছিল মামলা খারিজ না হওয়ার জন্য যথেষ্ট প্রাথমিক প্রমাণ রয়েছে। বুধবার এই মামলারই শুনানি ছিল সুপ্রিম কোর্টে। সেখানেই এদিন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা খারিজ করে দিয়ে এক যুগান্তকারী রায় দিয়েছে শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। সেখানে জানানো হয়েছে শুধুমাত্র সম্পর্ক না-টেকার অভিযোগে প্রাক্তনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করা যায় না।
এক্ষেত্রে আদালতের স্পষ্ট জবাব, অভিযোগকারিণী যদি দীর্ঘদিন ধরে অভিযুক্তের সঙ্গে সম্পর্কে আবদ্ধ থাকেন এবং তাঁদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্কও স্থাপিত হয় তাহলে শুধু মাত্র সেই সম্পর্ক পরিণতি না পাওয়ায় অভিযোগকারিণীর সম্মতি ছাড়া একটি প্রেমের সম্পর্ক টিকে ছিল, এ কথার কোনো যুক্তি খুঁজে পায়নি শীর্ষ আদালত (Supreme Court)।
আরও পড়ুন: ঝাড়খন্ড-মহারাষ্ট্রের নির্বাচন নিয়ে বড় ভবিষ্যদ্বাণী করলেন দেবাংশু! কাকে কত নম্বর দিলেন?
তাই এদিন এই ধর্ষণের মামলা খারিজ করে দিয়েছেন বিচারপতি বিভি নাগরত্ন এবং বিচারপতি এন কোটিশ্বর সিংহের ডিভিশন বেঞ্চ। আদালতের পর্যবেক্ষণ দুজনের সম্মতিতে গড়ে ওঠা একটি সম্পর্ক শেষ পর্যন্ত বিবাহ পর্যন্ত এগোল না বলেই সেটা অপরাধ বলে গণ্য হতে পারে না। মামলা কারীর অভিযোগ ওই ব্যক্তি নাকি তার বাড়ির ঠিকানা খুঁজে জোর করে তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন।
এই দাবি একেবারেই যুক্তিগ্রাহ্য নয় বলেই সুপ্রিম কোর্টের ২ বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছেন অভিযোগকারিণী নিজে থেকে ঠিকানা না জানালে অভিযুক্ত কিভাবে তার ঠিকানা জানবেন? শুধু নয় অভিযোগকারিণীর সম্মতি ছাড়া অভিযুক্তের পক্ষে দীর্ঘ সময় ধরে প্রেম টিকিয়ে রাখা বা শারীরিক সম্পর্ক রাখাও সম্ভব নয় বলেও জানিয়েছে আদালত।