বাংলা হান্ট ডেস্কঃ অনুব্রত মণ্ডল ফেরার পর থেকেই শিরোনামে রয়েছে বীরভূমের রাজনীতি। গত শনিবার তৃণমূলের (Trinamool Congress) কোর কমিটির বৈঠক হয়েছে। সেখানে আনুষ্ঠানিকভাবে কমিটির সদস্য করা হয়েছে কেষ্টকে (Anubrata Mondal)। তারপর সপ্তাহখানেক যেতে না যেতেই সামনে আসছে কোর কমিটির দুই সদস্যের মধ্যে ‘কোন্দলে’র খবর।
মন্ত্রী চন্দ্রনাথের পার্টি অফিস দখল করল কেষ্টবাহিনী (Trinamool Congress)!
বোলপুরের শ্রীনিকেতন বাজারের রূপপুর এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) একটি পার্টি অফিস রয়েছে। দলীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, সেটি রাজ্যের মন্ত্রী তথা বীরভূম তৃণমূলের কোর কমিটির সদস্য চন্দ্রনাথ সিনহার পার্টি অফিস বলেই পরিচিত। মন্ত্রী ‘ঘনিষ্ঠ’ তথা স্থানীয় তৃণমূল পর্যবেক্ষক বাবু দাস সেই কার্যালয় চালাতেন। বৃহস্পতিবার কেষ্ট অনুগামীরা সেই পার্টি অফিসের দখল নেয় বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চাপানউতোর শুরু হয়েছে।
জানা যাচ্ছে, গতকাল রূপপুর এলাকার ওই দলীয় কার্যালয় দখল নেওয়ার পর সেখানে তৃণমূলের (Trinamool Congress) পতাকা এবং অনুব্রতর ছবি দেওয়া ব্যানার লাগিয়ে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে বিশাল পুলিশবাহিনী আসে। সেই সঙ্গেই মহিলা পুলিশও মোতায়েন করা হয় বলে খবর। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই জেলা তৃণমূলের অন্দরে অস্বস্তি তৈরি হয়েছে। কোর কমিটির আহ্বায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী বলেন, ‘আমি এখনও বিষয়টি জানি না। সবটা জেনে দলীয়ভাবে পর্যালোচনা করব’।
আরও পড়ুনঃ সন্দেশখালি, মিনাখাঁর বিধায়ক আক্রান্ত! ‘হিন্দু তৃণমূল নেতারা আতঙ্কিত’! বোমা ফাটালেন শুভেন্দু
দলীয় কার্যালয় ‘দখলে’র এই ঘটনা প্রসঙ্গে স্থানীয় তৃণমূল নেতা ইনসাফ মল্লিক বলেন, বিগত প্রায় ১৫ বছর ধরে এটি তৃণমূলের পার্টি অফিস। কয়েকদিন ধরে বাবু দাস দলীয় কার্যালয় (Party Office) বন্ধ রেখেছিলেন। সেই কারণে এই পার্টি অফিস দখল নিয়ে অনুব্রতর ছবি লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে পার্টি অফিস বন্ধ রাখার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বাবু।
বোলপুর পুরসভার ১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সঙ্গীতা দাসের স্বামী বাবু বলেন, ‘দলীয় কার্যালয় কেন বন্ধ থাকবে? পার্টি অফিসের সামনে কাজ হচ্ছে, সেই কারণে বন্ধ। আমরা মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার অনুগামী। দাদার নাম কলুষিত করতে নোংরামি করা হচ্ছে। প্রশাসনকে এই বিষয়ে জানিয়েছি’। এদিকে তৃণমূল (Trinamool Congress) সূত্রে জানা যাচ্ছে, রূপপুর এলাকার ওই পার্টি অফিস একজনের বাড়ি ভাড়া নিয়ে তৈরি হয়েছিল। তবে বিগত কয়েক মাস ধরে সেটি বন্ধ।
বাড়ির মালিক রোজিনা খাতুন বলেন, ‘এটা আমাদের বাড়ি। বাবু দাসকে পার্টি অফিস করার জন্য ভাড়া দিয়েছিলাম। যে দিন থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন কারোর বাড়িতে পার্টি অফিস করা যাবে না, সেদিন থেকে এই অফিস বন্ধ। ওদের নিজেদের ঝামেলা, এখানে এসে তালা ভেঙে পতাকা লাগিয়ে দিল। ওরা অন্য এলাকার তৃণমূলের লোক’।