বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পরিবেশ আদালতের নির্দেশকে মান্যতা দিয়ে কদিন আগেই মন্দারমণির ১৪০টি হোটেল ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। এই খবর কানে আসতেই রণমূর্তি নিয়েছিলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্নকে না জানিয়ে জেলা প্রশাসন এত বড় সিদ্ধান্ত নেওয়ায় কার্যত ‘স্তম্ভিত’ হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
মন্দারমণির হোটেল ভাঙার মামলায় কি রায় দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)?
ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছিলেন রাতারাতি মন্দারমনির হোটেলে বুলডোজার চালিয়ে এতগুলো পরিবারকে তিনি পথে বসাতে পারবেন না। কিন্তু তারপরেও জেলা প্রশাসকের নির্দেশ পেয়ে চিন্তা কিছুতেই দূর হচ্ছিল না হোটেল মালিকদের। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ আসার আগেই হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়ে মামলা করেছিলেন হোটেল ব্যবসায়ীরা।
এতগুলো পরিবারের রুজি-রুটির কথা বিবেচনা করার করে দেখার আর্জি জানিয়েছিলেন তারা। আজ সেই মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। শুক্রবার এই মামলার রায় কি হয় সেদিকেই তাকিয়ে ছিলেন হোটেল ব্যবসায়ীরা। অবশেষে মন্দারমণির হোটেল ভাঙার মামলার স্থগিতাদেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অমৃতা সিনহা।
আরও পড়ুন: অ্যাকশন মুডে মমতা বন্দোপাধ্যায়! কালীঘাটে বৈঠক ডাকলেন তৃণমূল সুপ্রিমো
জানিয়ে দিলেন আপাতত ভাঙা যাবেনা মন্দারমণির কোন হোটেল। বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছেন আগামী ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত হোটেল ভাঙার ওপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ থাকছে। অর্থাৎ ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত হোটেল গুলির বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না। জানা আছে আগামী ১০ ডিসেম্বর ফের এই মামলার শুনানি রয়েছে হাইকোর্টে।
আদালতে এদিন হোটেল মালিকদের তরফ থেকে সাওয়াল করেছিলেন আনইজীবী তথা তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি প্রশ্ন তোলেন ১৯৯৯ সালের পর মাঝে কেটে গিয়েছে এত বছর। তাহলে কেন এতদিন পর হোটেল ভাঙার কথা বলা হচ্ছে? তিনি প্রশ্ন করেন, ‘কমিটির যদি কোনও ক্ষমতা না থাকে বন্ধ করার, তাহলে সে কি পারে ভেঙে ফেলতে? সেখানে একটা শিল্প চলছে। পর্যটক শিল্প।’ একই সাথে এই পলিসিকে দূষিত বলে উল্লেখ করে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন।, ‘উত্তরপ্রদেশে এমন বুলডোজার পলিসি নেওয়া হয়।’