চুল্লিতে ঢোকানোর আগেই নড়ে উঠল খাটিয়া! ‘ময়নাতদন্ত’ হওয়ার পরেও কীভাবে বেঁচে উঠল মৃত ব্যক্তি?

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মরা মানুষ বেঁচে উঠল চুল্লিতে ঢোকানোর ঠিক আগে! ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘যমালয়ে জীবন্ত মানুষ’-এর কাহিনী তো আমরা সকলেই জানি। তবে সেটা ছিল সিনেমা। আর এ আর এ-একেবারে বাস্তব ঘটনা। এই ব্যক্তিকে যদিও যমালয় পর্যন্ত যেতে হয়নি। শ্মশানের  চুল্লিতে ঢোকার আগে, ঠিক সৎকারের আগের মুহূর্তেই বেঁচে উঠেছেন এই ‘মৃত’ ব্যক্তি।

রাজস্থানে (Rajasthan) শ্মশানের মধ্যেই বেঁচে উঠল মরা মানুষ

তাও আবার তার নাকি ময়নাতদন্তও হয়ে গিয়েছিল। এমন অদ্ভুতুড়ে কান্ড ঘটেছে রাজস্থানের (Rajasthan) ঝুনুঝুনুতে। হাসপাতাল থেকে মৃত ঘোষণা করার পরেও সৎকারের ঠিক আগের মুহূর্তেই বেঁচে উঠে সবাইকে চমকে দিয়েছেন ওই ব্যক্তি। প্রশ্ন উঠছে, ময়না তদন্তে কাঁটাছেঁড়া করার পরেও কীভাবে প্রাণ ফিরে পেলেন তিনি?

আসল ঘটনা সামনে আসতেই সাসপেন্ড করা হয়েছে তিনজন চিকিৎসককে। সেই সাথে চলছে তদন্তও। এখানে যে ব্যক্তির কথা হচ্ছে তার নাম রোহিতেশ। মানসিক ভারসাম্যহীন ও বিশেষভাবে সক্ষম ওই ব্যক্তি কোনো এক এনজিওর তত্ত্বাবধানেই থাকতেন। তারাই তাকে ঝুনুঝুনুর (Rajasthan) হাসপাতালে ভর্তি করেছিলেন।

ভর্তির পর শুরু হয়েছিল চিকিৎসাও। ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে রাখা হয়েছিল তাকে। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই চিকিৎসকরা এসে জানান ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তাই তারপর তার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয় মর্গে। আর এই মর্গেই ঘটে যায় যত কান্ড! যেহেতু রোহিতেশ বাবু ছিলেন মানসিক ভারসাম্যহীন, তাই তার দেহটি দাবিদারহীন ভেবে চিকিৎসকরা ময়নাতদন্ত না করেই নকল ময়নাতদন্তের রিপোর্ট তৈরি করে তা ধরিয়ে দেয় পুলিশের হাতে।

আরও পড়ুন: শিখ-সর্দারদের নিয়ে ইয়ার্কিতে নিষেধাজ্ঞা! আবেদন শুনে কী বলল সুপ্রিম কোর্ট?

এরপর পুলিশি ওই ব্যক্তির সরকারের ব্যবস্থা করে। আশ্চর্যের বিষয় সৎকারে নিয়ে যাওয়ার আগে তার দেহ মর্গের ফ্রিজেই চার ঘণ্টা রাখা ছিল। এরপর যখন তার দেহ সৎকারের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় তখন শুধু অপেক্ষা ছিল চুল্লিতে ঢোকানোর। চুল্লিতে (Rajasthan) ঢোকানোর ঠিক ২ মিনিট আগে হঠাৎ করেই নড়ে ওঠে প্লাস্টিক। ভিতর থেকে বেরিয়ে আসে হাত। তারপর খাটিয়া থেকেই উঠে বসেন ওই মৃত ব্যক্তি।

Rajasthan

ততক্ষণে তাঁকে দেখে ‘আত্মারাম খাঁচা ছাড়ার’ জোগার শ্মশানে উপস্থিত অন্যান্য ব্যক্তি সহ পুলিশদের। বিষয়টি জানাজানি হতেই জেলা প্রশাসনের তরফে জেলা রেভিনিউ অফিসার ও পুলিশকে তদন্তের জন্য পাঠানো হয়। এরপর হাসপাতালে গিয়ে সিসিটিভি ফুটেজ দেখতেই বেরিয়ে আসে আসল সত্যি। কর্তব্যের এমন মারাত্মক গাফিলতির অভিযোগে ওই হাসপাতালের চিফ মেডিকেল অফিসার ও দুই চিকিৎসককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Anita Dutta
Anita Dutta

অনিতা দত্ত, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৪ বছরের বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতা পেশার সাথে যুক্ত।

সম্পর্কিত খবর