বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে দেশজুড়ে বসানো হচ্ছে স্মার্ট মিটার (Smart Metre)।কেন্দ্রের নির্দেশ মেনেই এবার এই মিশনে নেমে পড়েছে রাজ্য সরকার। যদিও প্রথম থেকেই এই স্মার্ট মিটার মিশনের বিরোধিতায় সরব হয়েছে বহু সংগঠন। আর এবার অভিযোগ উঠল মধ্যমগ্রাম পুরসভার এলাকার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব উদয়রাজপুরের কাজী নজরুল ইসলাম সরণিতে।
স্মার্ট মিটার (Smart Metre) বসাতে গিয়ে বাধার মুখে WBSEDCL-র ঠিকাকর্মীরা
বুধবার সেখানেই স্মার্ট মিটার (Smart Metre) বসাতে গিয়ে গ্রাহকদের ব্যাপক বাধার মুখে পড়েন রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন কোম্পানির অধীনস্থ একটি ঠিকাদার সংস্থার কর্মীরা।এদিন ঠিকাদার সংস্থার দুজন কর্মী এলাকার বাড়ি বাড়ি ঘুরে স্মার্ট মিটার (Smart Metre) বসাতে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে গিয়ে উল্টে তারাই গ্রাহকদের জেরার মুখে পড়লেন।
তারা যে সত্যিই সরকারি অফিস থেকে এসেছেন তা মুখের কথায় বিশ্বাস করতে চাননি কেউই। তাই যে দুজন ঠিকাকর্মী স্মার্ট মিটার বসাতে এসেছিলেন তাদের কাছে রাজ্যের বিদ্যুৎ বন্টন কোম্পানির তরফে কোন নির্দেশের কাগজ আছে কিনা তা দেখাতে বলা হয়। বাসিন্দাদের স্পষ্ট দাবি স্মার্ট মিটার বসানো নিয়ে এর আগে তাদের এলাকার কোন প্রচার করা হয়নি। বাসিন্দাদের দাবি সরকারের অনুমতি ছাড়া এলাকার কোন স্মার্ট মিটার বসাতে দেওয়া হবে না.
এই স্মার্ট মিটার বসানো নিয়ে এদিন দু-পক্ষের মধ্যে তৈরি হয় উত্তেজনা। শেষ পর্যন্ত গ্রাহকদের বাধার মুখে পড়ে পিছু হটতে বাধ্য হয় ওই দুই ঠিকা কর্মী। কিছুক্ষণের মধ্যেই মিটার বসানোর পাঠ চুকিয়ে তারা বাধ্য হয়ে এলাকা ছাড়েন। প্রসঙ্গত প্রথম ধাপে রাজ্যজুড়ে কয়েক লক্ষ স্মার্ট মিটার বসানোর পরিকল্পনা করেছিল রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুন: চুল্লিতে ঢোকানোর আগেই নড়ে উঠল খাটিয়া! ‘ময়নাতদন্ত’ হওয়ার পরেও কীভাবে বেঁচে উঠল মৃত ব্যক্তি?
সেইমতো স্মার্ট মিটার বসানোর কাজও শুরু হয়ে গিয়েছিল। জানা যাচ্ছে প্রাথমিকভাবে রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন পর্ষদের এলাকায় মোট ৩৭ লক্ষ মিটার বসানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। যা পরবর্তীতে ধাপে ধাপে আরও বাড়তে চলেছে। যদিও প্রথম থেকেই স্মার্ট মিটার বসাতে গিয়ে বাধার মুখে পড়ছেন ঠিকা কর্মীরা। অনেক জায়গায় এই স্মার্ট মিটার বসানোর বিরোধিতা করে স্মারকলিপিও জমা দেওয়া হচ্ছে প্রশাসনকে।
যদিও এপ্রসঙ্গে রাজি বিদ্যুৎ বন্টন কোম্পানির দাবি প্রত্যেক ঠিকাদার সংস্থার কাছেই স্মার্ট মিটার বসানোর জন্য প্রয়োজনীয় নথিপত্র রয়েছে। গ্রাহকদের ভুল বুঝিয়েই এই স্মার্ট মেশিনের বিরোধিতা করানো হচ্ছে। এর ফলে আগামী দিনে বিদ্যুৎ সরবরাহের সমস্যা তৈরি হতে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করেছেন তারা।