বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সরকার গঠনের লড়াইয়ে ‘কাঁটে কা টক্কর’ চলছে দেশের দুই রাজ্য মহারাষ্ট্র এবং ঝাড়খন্ডে। এই দুই রাজ্যে সদ্য সম্পন্ন হয়েছে ২০২৪-এর বিধানসভা নির্বাচন। ২০ নভেম্বর মহারাষ্ট্রের ২৮৮ টি আসনে এক দফাতেই নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। মারাঠা ভূমে সরকার গঠন করতে লাগবে ১৪৫ টি আসন। ইতিমধ্যেই ২০০ পার করে মহারাষ্ট্রে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে বিজেপির (BJP) মহাজুটি জোট।
মহারাষ্ট্রে ফিরছে BJP-র জোট
তারপরেই সংবাদমাধ্যমে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে বলেন, ‘আমরা বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছি। আগেই বলেছিলাম মহাজুটি (BJP) জিতবে’। ধন্যবাদ প্রিয় বোনেরা।কদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দাবিদার থেকে সরে এসেছেন তিনি। তাই যদি যখন তাঁর কাছে প্রশ্ন করা হয় আগামী মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন তখন তিনি বলেন, ‘এই তিন দল একসঙ্গে এই সিদ্ধান্ত নেবে।’
যদিও বুথফেরত সমীক্ষা দেখে মহারাষ্ট্রের ফল ঘোষণা নিয়ে কেউই স্পষ্ট কোন মতামত দিতে পারেননি। কারণ মহাজুটি ও এমডিএ জোটের মধ্যে যেই জিতুক না কেন তেমন কোন উল্লেখযোগ্য ফারাক থাকবেনা বলেই মনে করা হচ্ছিল। যার ফলে মহারাষ্ট্রে নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর এক মহা গোলমেলে পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছিল। তবে ফল ঘোষণার পর বোঝাই যাচ্ছে মহারাষ্ট্রে থাবা বসাতে পারল না শরদ পওয়ার, উদ্ধব ঠাকরেদের দল।
অন্যদিকে আজই ফল ঘোষণা হয়েছে ঝাড়খন্ডেও। এই কেন্দ্রে দু’দফায় মোট ৮১ টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট সম্পন্ন হয়েছে। এখানে সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভের জন্য প্রয়োজন ৪২ টি আসনের। ঝাড়খন্ডের ফল প্রকাশের পর দেখা যাচ্ছে সেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে গিয়েছে জেএমএম জোট। ঝাড়খন্ডে জেএমএম জোট সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার পর শুরু হয়েছে বৈঠক।
আরও পড়ুন: চা -বলয়েও ফুটল ঘাসফুল! BJP- কে কুপোকাত করে ৬ কেন্দ্রেই জয়ী তৃণমূল
প্রসঙ্গত ঝাড়খন্ডে সরকার গঠন করতে গেলে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এখানকার সাঁওতাল পরগণা। তাই যে দলই ক্ষমতায় আসুক না কেন এই সাঁওতাল পরগণার সমর্থন পাওয়া খুবই জরুরী। তাই ঝাড়খণ্ডের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে সাঁওতাল পরগণার এই আঠারোটি আসনের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গত বিধানসভা নির্বাচনে ২০১৯ সালে প্রায় ৩৫ শতাংশ ভোট পেয়ে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছিল জেএনএম ,কংগ্রেস, আরজেডির মহাগাটবন্ধন। সেবার মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন জেএনএম-এর প্রতিষ্ঠাতা শিবু সোরেনের পুত্র হেমন্ত সোরেন।
এবার তিন দল লড়াই করছে একসঙ্গে। সাথে রয়েছে বাম দল সিপিআইএমএল। প্রসঙ্গত এই ঝাড়খন্ড-মহারাষ্ট্র নির্বাচনের পাশাপাশি এখন সারা দেশের নজর রয়েছে ওয়েনাড় লোকসভা আসনের উপনির্বাচনের দিকেও। কারণ রাহুল গান্ধীর ছেড়ে দেওয়া এই আসনে প্রথমবার কংগ্রেস প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে লড়ছেন তার বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গে আজই ৬ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হয়েছে। যা থেকে জানা যাচ্ছে বাংলার ৫ জেলার ৬ কেন্দ্রই এসেছে তৃণমূলের দখলে।