বাংলা হান্ট ডেস্কঃ যে কোনও শিক্ষার্থীর জীবনের দ্বিতীয় সবচেয়ে বড় পরীক্ষা হিসেবে গণ্য করা হয় উচ্চ মাধ্যমিককে (Higher Seondary Exam)। আর কয়েকদিনের অপেক্ষা শেষেই আগামী বছরের পরীক্ষা শুরু হয়ে যাবে। তার আগে এবার বড় সিদ্ধান্ত নিল উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ (WBCHSE)। ইতিমধ্যেই জারি করা হয়েছে নয়া বিজ্ঞপ্তি।
উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার আগে কী সিদ্ধান্ত নিল সংসদ (WBCHSE)?
২০২৫ সালে শেষবারের মতো উচ্চ মাধ্যমিকের (HS Exam) ক্ষেত্রে বার্ষিক পরীক্ষা হবে। এরপর থেকে পুরোদমে চালু হয়ে যাবে সেমিস্টার পদ্ধতি। তার আগেই সমস্ত প্রক্রিয়া অনলাইন করার উদ্যোগ নিল উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। রেজিস্ট্রেশন থেকে শুরু করে প্রশ্নপত্রের নম্বর তোলা, ইতিমধ্যেই সবটা অনলাইনে করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এবার জানা যাচ্ছে, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা সম্বন্ধিত সব কাজ অনলাইনে হবে।
আগামী বছরের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগেই পরীক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত শিক্ষক/শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীদের নিয়ন্ত্রণ ও তালিকা ত্রুটিমুক্ত করার জন্য শিক্ষা সংসদ (WBCHSE) ধাপে ধাপে অনলাইনের পথে হাঁটতে চলেছে। পরীক্ষা ব্যবস্থার যুক্ত রয়েছেন সেন্টার সেক্রেটারি, জয়েন্ট কনভেনরদের লিস্টের বিস্তারিত সংসদের ওয়েবসাইটে বিদ্যালয়গুলিকে আপলোড করতে হবে। জয়েন্ট কনভেনার ও জেলা পরিদর্শকের কাছে সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটের ইউজার আইডি এবং পাসওয়ার্ড দেওয়া হবে বলে খবর।
আরও পড়ুনঃ ১ জানুয়ারি থেকেই…! সরকারি কর্মীদের নতুন বেতন কমিশন কবে? DA নিয়েও হাতেগরম আপডেট
প্রথমে জয়েন্ট কনভেনার পুরো তালিকা সুপারভাইজ করবেন। তারপর তা ডিআইকে দেবেন। এরপর তিনি সেটি আবারও সুপারভাইজ করার পর অনলাইনে কাউন্সিলের কাছে নথিভুক্ত করবেন। রিপোর্ট বলছে, রিজিওনাল অফিস বা কাগজে কলমে কাজ নয়, এবার থেকে অনলাইনেই সবটা হবে।
উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য (Chiranjib Bhattacharjee) এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘প্রথমে এই ওয়েবসাইট জয়েন্ট কনভেনর ও জেলা পরিদর্শকের কাছে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণাধীন থাকবে। সেন্টার ইনচার্জ এবং সেন্টার সেক্রেটারির সব কাজ এই অনলাইন ব্যবস্থার মধ্যে আনা হচ্ছে। এরপর ধাপে ধাপে পরীক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত কাউন্সিল নমিনি, ডিএসসি সদস্য সহ সবার লিস্টই অনলাইন ব্যবস্থাপনায় নিয়ে আসা হবে’।
অন্যদিকে বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার মণ্ডল আবার উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের (WBCHSE) এই উদ্যোগ প্রসঙ্গে বলেন, অনলাইন ব্যবস্থা চালু করার ভালো-খারাপ দুই দিকই রয়েছে। অনলাইন ব্যবস্থা সুরক্ষিত ও ফুল প্রুফ তা নিশ্চয়ই ভালো, কিন্তু যদি এমনটা না হয়, সেক্ষেত্রে ট্যাব কেলেঙ্কারির মতো ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। একইসঙ্গে বলেন, পরীক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে যে সকল ব্যক্তিকে যুক্ত করা হয়, তাঁদের মধ্যে অনেকেরই গতিবিধি সন্দেহজনক। সেক্ষেত্রে ওয়েবসাইট থেকে তাঁদের ওপর নজরদারি চালালে ভালোভাবে পরীক্ষা পরিচালনা করা যাবে।