বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ছয় আসনের বিধানসভা উপনির্বাচনে ছক্কা হাঁকিয়েছে তৃণমূল। উত্তর থেকে দক্ষিণ, সর্বত্র ঘাসফুল ফুটেছে। কোচবিহারের সিতাই কেন্দ্রে যেমন বড় ব্যবধানে জয়ী হয়েছে রাজ্যের শাসক দল। আর তারপরেই শিরোনামে উঠে এসেছেন প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ তথা একদা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক (Nisith Pramanik)। কোচবিহারে কি তাহলে নিশীথ-ম্যাজিক ফুরিয়ে আসছে? মাথাচাড়া দিয়েছে এই প্রশ্ন।
প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ নিশীথের (Nisith Pramanik) ওপর ক্ষুব্ধ শুভেন্দু!
একসময় কোচবিহারের যুব তৃণমূল সভাপতি ছিলেন নিশীথ। শোনা যায়, তৃণমূলের মূল সংগঠনেরও পরোয়া করতেন না তিনি। উল্টে নিশীথের ‘দাপটে’ মাঝেমধ্যেই কান্নাকাটি করতেন জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ! তবে উনিশের লোকসভা ভোটের আগে ‘ফুলবদল’ করেন এই যুব নেতা। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে (BJP) এসে সাংসদ হন। অমিত শাহরা হয়তো ভেবেছিলেন, নিশীথের দাপটে কোচবিহার থেকে সাফ হয়ে যাবে তৃণমূল! তবে গত লোকসভা ভোট এবং এবারের বিধানসভা উপনির্বাচনে দেখা গেল ‘অন্য’ ছবি।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, নিশীথ (Nisith Pramanik) যতদিন তৃণমূলে ছিলেন, ততদিন স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের ভরসায় দাপট বজায় রেখেছিলেন। সংগঠনের নিচুতলার কর্মীদের একটা অংশ তাঁকে ঘিরে রাখতো। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে তাঁদের ভরসায় ভোটবাক্সেও বাজিমাতও করেন। তবে গত ৫ বছরে সংগঠন ধরে রাখতে পারেননি নিশীথ।
আরও পড়ুনঃ চাকরি দিচ্ছে সিপিএম! নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ সেলিমের! কীভাবে আবেদন করতে হবে?
জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা, গাড়ির কনভয় থাকলেও কোচবিহারের (Cooch Behar) মাটিতে সংগঠন মজবুত করতে পারেননি বিজেপির এই যুব নেতা। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের তেমনটাই অনুমান। চব্বিশের লোকসভা ভোটে সিতাইয়ে বিজেপির ফলাফল দেখলেই সেকথা খানিক আন্দাজ করে নেওয়া যায়।
এবারের লোকসভা নির্বাচনে সিতাই কেন্দ্রে এগিয়ে ছিল তৃণমূল। প্রায় ৩০,০০০ ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে ছিল রাজ্যের শাসকদল। উপনির্বাচনে সেই ব্যবধানই বেড়ে দাঁড়াল প্রায় ১ লক্ষ ৩০,০০০। একটি সংবাদমাধ্যমে বিজেপি সূত্র উদ্ধৃত করে দাবি করা হয়েছে, সিতাই আসনে বিজেপির ফলাফল যে এমন হতে পারে, সেই বিষয়ে অমিত শাহকে খানিক ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। নিশীথের (Nisith Pramanik) বিরুদ্ধে ক্ষোভও উগড়ে দিয়েছিলেন বলে খবর। শুভেন্দুদের অভিযোগ ছিল, কেন্দ্রের মন্ত্রী হয়ে এদিক ওদিক করলেও কোচবিহারে নজর দেননি এই যুব নেতা। ভোটের সময় সেটারই মাশুল গুনতে হচ্ছে দলকে।