বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শনিবার পশ্চিমবঙ্গের ৬ আসনের বিধানসভা উপনির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হয়েছে। প্রত্যেকটিতেই বাজিমাত করেছে তৃণমূল। এমনকি মাদারিহাট আসনেও প্রথমবার ঘাসফুল ফুটেছে। আরজি কর সহ বিজেপির (BJP) হাতে একাধিক ইস্যু থাকলেও ভোটবাক্সে সেভাবে কামাল দেখাতে পারেনি গেরুয়া শিবির। কেন এমন ভরাডুবি দলের? এবার জানালেন কার্শিয়াংয়ের বিজেপি বিধায়ক।
উপনির্বাচনে বিজেপির (BJP) ব্যর্থতা নিয়ে বিস্ফোরক দলের MLA!
আজ নিজের সমাজমাধ্যমে উপনির্বাচনের (Assembly By Election) ফলাফলের প্রেক্ষিতে একটি দীর্ঘ পোস্ট করেন কার্শিয়াংয়ের বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণু প্রসাদ শর্মা। লেখেন, ‘বিজেপি কলকাতা অফিস থেকে সমগ্র বাংলার জন্য সদস্য সংগ্রহ অভিযানের ডাক দিয়েছে। এদিকে দলের অন্দরে এত বিভাজন নিয়ে নেতারা চোখ বুজে রেখেছেন। দল বিধায়কদের কোণঠাসা করে দিচ্ছে এবং সাংসদদের অপ্রয়োজনীয় দায়িত্ব আর গুরুত্ব দিচ্ছে। টাকার জোরে ভোটের জেতার স্বপ্ন দেখছে। রাজ্যে রাজনৈতিক ইস্যুর কোনও খামতি না থাকলেও ধর্মকে কেন্দ্র করে জয়ী হওয়ার বিষয়টি নিয়ে ঘুরপাক খাচ্ছে’।
এখানেই না থেমে বিষ্ণু প্রসাদ (Bishnu Prasad Sharma) আরও লেখেন, ‘বিজেপি বিরোধীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনে। এদিকে নিজেরা অম্বানি, আদানিকে কাঁধে চাপিয়ে রেখেছে। এখানকার আদিবাসী মানুষদের অধিকার রক্ষা করছে না। তবে বাংলাদেশি হিন্দুদের সিএএর নামে প্রলোভিত করছে। ১০০ দিনের প্রকল্পের টাকা আটকে রেখেছে। আবার রাজ্যে নির্বাচনে জেতার কথা ভাবছে’।
আরও পড়ুনঃ মৃতদেহ পরীক্ষা করেন ডোম, তারপর শুনে শুনে…! আরজি করের কাণ্ড ফাঁস হতেই তোলপাড়!
গেরুয়া শিবিরের (BJP) টিকিটে জিতেই বিধায়ক হয়েছেন বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা। তবে পরবর্তীতে বেশ কিছু ইস্যুতে দলের সঙ্গে সংঘাত হয়। আজ উপনির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হতেই সমাজমাধ্যমে এক বিস্ফোরক পোস্ট করেন তিনি। নিজের পোস্টে তৃণমূলের প্রশংসাও করেছেন এই পদ্ম এমএলএ।
বিজেপি (BJP) বিধায়ক লিখেছেন, ‘তৃণমূল মানুষের পাশে থেকেছে। কন্যাশ্রী প্রকল্প, গীতাঞ্জলি হাউসিং প্রকল্প, কৃষক বন্ধু প্রকল্প, নিজ গৃহ নিজ ভূমি, রূপশ্রী প্রকল্প, শিশু সাথী প্রকল্প এবং স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড সহ ২৬টি গরিব দরদী প্রকল্প চালু করেছে। চুপচাপ তৃণমূল স্তরে কাজ করছে ওরা। এবার আপনারাই ঠিক করুন নির্বাচনে কারা জিতবে। আমি কখনও বিজেপিতে আত্ম সমালোচনার সংস্কৃতি দেখিনি। তাহলে এমন ফলাফল হতো না’।