বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সদ্যই অবসর নিয়েছেন দেশের প্রধান বিচারপতির পদ থেকে। তবে অবসর গ্রহণের পরও চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে ডিওয়াই চন্দ্রচূড় (Former Chief Justice DY Chandrachud)। গত ১০ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতির পদ থেকে অবসর নিয়েছেন চন্দ্রচূড়। আগেও তাকে নিয়ে সাধারণ মানুষের কৌতূহলের শেষ ছিল না, এখনও নেই। অবসরের পর প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি কি এবার রাজনীতিতে যোগ দেবেন? এবার সেই প্রশ্নই উঠল। আর উত্তরে যা বললেন চন্দ্রচূড়…
রাজনীতিতে যোগ দিচ্ছেন প্রাক্তন বিচারপতি? এই প্রশ্নের জবাবে অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন, ৬৫ বছর বয়সের পরে তিনি এমন কোনো কাজ করবেন না যা তার কাজ এবং বিচার ব্যবস্থার সততার উপর সন্দেহের জায়গা তৈরি করতে পারে। এককথায় সমস্ত জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি।
তার কথায়, ‘সমাজ অবসরপ্রাপ্ত বিচারকদেরও আইনের রক্ষক হিসেবেই দেখেন। তাই অবসরের পরেও বিচারপতিদের জীবন যাতে আইনি ব্যবস্থায় সমাজের বোধের সঙ্গে মানানসই হয় অবশ্যই সেও বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।’ ‘অবসরের পরেও যাতে বিচারকদের ভাবমূর্তি বজায় থাকে, সেই বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।’
গোটা বিষয়টার সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা দিয়ে প্রাক্তন বিচারপতি বলেন, ‘আমি যদি অফিসে শুয়েও থাকি, তাহলেও সমাজ আমাকে একজন বিচারক হিসেবেই দেখবে। সাধারণ নাগরিকদের জন্য যে জিনিসগুলি করা ঠিক, এবং বিচারকদের পক্ষে যেসব করা শোভনীয় নয় বলে মানুষ মনে করে সেগুলি এড়িয়ে যাওয়া উচিৎ।’
চন্দ্রচূড়ের মতে, ‘আপনি যদি অবসর নেওয়ার পর পরই রাজনীতিতে যোগদান করেন, তাহলে আপনার রায়দানের উপরে কোনো রাজনৈতিক চাপ ছিল বলে মানুষ এ সমাজ মনে করতে পারে।’ সাম্প্রতিক সময়ে বিচারপতির পদ থেকে অবসর নিয়ে রাজনীতিতে যোগদানের একাধিক নজির রয়েছে। প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি অবশ্য বলেন, ‘যে সব বিচারক বা বিচারপতি অবসরগ্রহণের পরে রাজনীতিতে এসেছেন, তাদের নিয়ে কোনও অসন্তোষ নেই।’
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ভুলে যাবেন, এই সুপারহিট প্রকল্পে ৮০০ টাকা দিচ্ছে রাজ্য সরকার, সবাই পাবেন?
তবে চন্দ্রচূড়ের মতে,’ অবসর নেওয়ার পর প্রতিটি বিচারকের ভাবা উচিত তারা এতদিন যে কাজ করেছেন, এবং এর পরে যা করবেন, সাধারণ মানুষের উপর তার কী প্রভাব পড়তে পারে। সব দিক বুঝেই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।’