বাংলাহান্ট ডেস্ক : সব অভিনেতা অভিনেত্রীরই ভালো এবং খারাপ সময় আসে। অমিতাভ বচ্চনও (Amitabh Bachchan) ব্যতিক্রম নন। ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতের মহীরুহ সমান তিনি। নিজের ফিল্মি কেরিয়ারে অসংখ্য ছবি উপহার দিয়েছেন। সবথেকে বড় কথা, এখনো পর্যন্ত কাজ করে চলেছেন তিনি। তবে অমিতাভের (Amitabh Bachchan) জীবনের একটা সময় এসেছিল যখন কার্যত পথে বসার জোগাড় হয়েছিল তাঁর। শেষমেষ এক প্রযোজনা সংস্থা তাঁকে ওই পরিস্থিতি থেকে উদ্ধার করে।
চরম আর্থিক সঙ্কটে পড়েছিলেন অমিতাভ (Amitabh Bachchan)
সোশ্যাল মিডিয়ায় উঠে এসেছে একটি পুরনো সাক্ষাৎকারের ক্লিপ। সেখানে অমিতাভকে (Amitabh Bachchan) বলতে শোনা গিয়েছিল সেই কঠিন সময়ের ব্যাপারে। তাঁর সংস্থা সম্পূর্ণ দেনায় ডুবে গিয়েছিল। ৯০ কোটি টাকার ঋণ হয়ে গিয়েছিল অমিতাভের। পাওনাদাররা প্রতিদিন তাঁর বাড়িতে এসে তাগাদা দিয়ে যেতেন। এই বিপুল পরিমাণ ঋণ পরিশোধ করতে শেষমেষ নিজের বাড়ি এবং কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত সব সম্পত্তি বিক্রি করার মতো পরিস্থিতি এসে গিয়েছিল অমিতাভের (Amitabh Bachchan)।
কঠিন সময় নিয়ে মুখ খুলেছিলেন বিগ বি: সাক্ষাৎকারে অমিতাভ (Amitabh Bachchan) জানিয়েছিলেন, সে সময় তাঁর হাতে কোনো কাজ ছিল না। এদিকে মাথায় ৯০ কোটি টাকার দেনা। প্রায় ৫৫ টা মামলা চলছিল। পাওনাদাররা রোজ বাড়িতে আসতেন। সে এক লজ্জাজনক এবং অপমানজনক পরিস্থিতি। তিনি আরো বলেছিলেন, একটি দিক ভুল হলে সব নষ্ট হতে থাকে। মানুষ বিশ্বাস হারিয়ে ফেলে। মুখ দেখতে চায় না আর তারা।
আরো পড়ুন : ‘যেখানে কোনো ভুল…’, কার দিকে ইঙ্গিত সলমনের? কৃষ্ণসার হত্যাকাণ্ডে নয়া মোড়!
কীভাবে পেলেন ওই ছবির প্রস্তাব: অমিতাভ (Amitabh Bachchan) এরপর বলেছিলেন, একদিন ভোর চারটে নাগাদ ঘুম থেকে উঠে তিনি নিজের অফিসে চলে যান। সেখানে বসে ভাবতে থাকেন, এমন কোন কাজ আছে যেটা তিনি সবথেকে ভালো পারেন। তখনই তাঁর মাথায় আসে যে তিনি অভিনয় করতে পারেন। এরপরেই অমিতাভ সটান পৌঁছে যান প্রযোজক যশ চোপড়ার বাড়িতে। অমিতাভের (Amitabh Bachchan) বিশেষ বন্ধু ছিলেন তিনি। সেখানে গিয়ে কাজ চাইতেই সঙ্গে সঙ্গে একটি ছবির প্রস্তাব দেন যশ চোপড়া। সেই ছবি ছিল ‘মহব্বতে’।
আরো পড়ুন : নাম জড়িয়েছে সহ অভিনেত্রীর সঙ্গে, বিচ্ছেদের জল্পনার মাঝেই নীরবতা ভাঙলেন অভিষেক
এই ছবিই ছিল অমিতাভের টার্নিং পয়েন্ট। বিগ বি বলেছিলেন, ওই কঠিন সময়টায় মানুষের স্বরূপ দেখেছিলেন তিনি। যারা একসময় তাঁর কোম্পানির পার্টনারশিপের জন্য উদগ্রীব ছিলেন, তারাই ওই সময়ে তাঁকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। তবে মহব্বতে তাঁকে ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করে। পাশাপাশি ‘কউন বনেগা ক্রোড়পতি’ও অনেক সাহায্য করেছিল অমিতাভের আর্থিক সঙ্কটের সময়।