বাংলাহান্ট ডেস্ক : বর্তমানে ভারতীয় রেলের (Indian Railways) নেটওয়ার্ক ছড়িয়ে পড়েছে গোটা দেশে। ব্রিটিশ আমলে স্থাপিত হওয়া ভারতীয় রেল আজ হয়ে উঠেছে প্রত্যেকটি সাধারণ নাগরিকের লাইফ লাইন। ব্রিটিশরা মূলত নিজেদের ব্যবসায়িক স্বার্থে ভারতবর্ষে রেললাইন স্থাপন করে। তবে সময়ের সাথে দেশের সাধারণ মানুষের যাতায়াতের অন্যতম প্রধান মাধ্যম হয়ে উঠেছে রেল ব্যবস্থা।
ভিসা নিয়ে ঢুকতে হয় ভারতীয় রেলের (Indian Railways) এই স্টেশনে
কয়েকশো বছর পুরনো ভারতীয় রেলের (Indian Railways) ইতিহাসও যথেষ্ট সমৃদ্ধ। জানা-অজানা নানান দিক নিয়ে ক্রমশ উন্নতির পথে এগিয়ে চলেছে ভারতীয় রেলওয়ে। ভারতীয় রেলের অধীনে বর্তমানে রয়েছে হাজার হাজার স্টেশন (Railway Station)। তার মধ্যে বেশ কিছু স্টেশনের ঐতিহাসিক গুরুত্ব যথেষ্ট প্রাসঙ্গিক।
তবে আজ আপনাদের ভারতীয় রেলের এমন একটি স্টেশন সম্পর্কে জানাতে চলেছি যেখানে প্রবেশ করতে গেলে প্রয়োজন হয় ভিসার (Visa)। সব থেকে বড় কথা বছরে মাত্র ২ দিন খোলা হয় এই স্টেশনের গেট। জানেন কোথায় রয়েছে এমন অদ্ভুত স্টেশন? পঞ্জাবের ফিরোজপুরে অবস্থিত এই স্টেশনটিকে বলা হয়ে থাকে ভারতের সর্বশেষ রেল স্টেশন।
আরোও পড়ুন : কলকাতায় সমানে বাড়ছে সমস্যা! এবার হাইকোর্টে যাচ্ছে রাজ্য সরকার! কি নিয়ে মামলা?
ভারতের ইতিহাসে স্টেশনটির গুরুত্ব অপরিসীম। পাকিস্তান সীমার আগে শেষ পয়েন্টে অবস্থান স্টেশনটির। লাহোরের প্রবেশদ্বারও বলা হয়ে থাকে ফিরোজপুরের এই স্টেশনটিকে। এই স্টেশনটি উদ্বোধন হয় ১৮৮৫ সালে। ফিরোজপুর থেকে কাসুরের মধ্যে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার মাধ্যম ছিল এই স্টেশন।
আরোও পড়ুন : পিরিয়ডস চলাকালীন অবস্থায় কি যৌন মিলন করা উচিত? লজ্জা না পেয়ে জেনে নিন বিশেষজ্ঞের মত
ঐতিহাসিক দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এহেন স্টেশনটি বর্তমানে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে পাকিস্তান সীমান্তের কাছে অবস্থিত এই স্টেশনটিতে নিয়মিত ট্রেন চলাচল করে না। স্বাধীনতা সংগ্রামে আত্মত্যাগকারীদের স্মরণে এই স্টেশন থেকে বছরে দুবার চালানো হয় বিশেষ ট্রেন।
২৩ মার্চ শহীদ দিবস উপলক্ষে ও ১৩ এপ্রিল বৈশাখী উপলক্ষে উত্তর রেলওয়ে চালিয়ে থাকে বিশেষ DMU ট্রেন। ফিরোজপুর থেকে হুসেনিওয়ালা সীমান্ত পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেয় বিশেষ ট্রেনটি। অতীতে এই ট্রেনের লাইন বিস্তৃত ছিল লাহোর পর্যন্ত। তবে দুই দেশের মধ্যে অস্থিরতার কারণে সেই ট্রেন পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এমনকি ভেঙে ফেলা হয় সলতেজ নদীর সেতু। বর্তমানে ট্রেনের লাইন শেষ হয়েছে হুসেনিওয়ালায়। সেখানে তৈরি করা হয়েছে শহীদ ভগত সিং, সুখদেব এবং রাজগুরুর স্মৃতিচিহ্ন। ঐতিহাসিক এই আটারি শ্যাম সিং রেলওয়ে স্টেশনটি (Attari Shyam Singh Railway Station) ওয়াঘা স্টেশন নামেও পরিচিত। জানলে হয়ত অবাক হবেন, ভিসা ছাড়া প্রবেশ করা যায় না ভারতের এই স্টেশনে।