বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার একটি বড় আপডেট সামনে এসেছে। যেটা থেকে অনুমান করা হচ্ছে যে দ্রুত মুদ্রাস্ফীতির ভ্রুকুটি থেকে মুক্তি মিলতে পারে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, খরিফ মরশুমে ভালো ফলন এবং রবি মরশুমে ভালো বপনের সম্ভাবনার কারণে খাদ্যপণ্যের মুদ্রাস্ফীতি (Inflation) কমার সম্ভাবনা রয়েছে। গ্রামাঞ্চলে পণ্যের ভালো চাহিদা রয়েছে এবং শহরাঞ্চলে বেকারত্ব কমছে। এমতাবস্থায়, আমদানির পরিসংখ্যান অনুযায়ী স্পষ্ট হয়েছে যে, দেশে পণ্যের জোরালো চাহিদা রয়েছে। যা ক্রমবর্ধমান অর্থনীতির ইতিবাচক লক্ষণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
শীঘ্রই মুদ্রাস্ফীতি (Inflation) থেকে মিলবে রেহাই?
গত সোমবার অর্থ মন্ত্রকের তরফে প্রকাশিত অক্টোবর মাসের মাসিক অর্থনৈতিক পর্যালোচনায় এই তথ্য উপস্থাপিত করা হয়েছে। যেখানে আরও বলা হয় যে, বিশ্বব্যাপী অনিশ্চয়তাসহ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। তবে, আগামী মাসগুলিতে দেশের অর্থনীতির অবস্থা ভালো থাকবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। যার ফলে প্রভাবিত হবে মুদ্রাস্ফীতি (Inflation)।
মিলেছে মুদ্রাস্ফীতি কমার লক্ষণ: ওই পর্যালোচনায় বলা হয়েছে, যে কিছু খাদ্যপণ্যের দাম এখনও বেশি। তবে খরিফ মরশুমে ভালো কৃষি উৎপাদন এবং রবি মরশুমে ভালো বপনের সম্ভাবনা বিবেচনা করে, আগামী মাসগুলিতে খাদ্য মুদ্রাস্ফীতি (Inflation) হ্রাসের সম্ভাবনা রয়েছে। নভেম্বরের প্রারম্ভিক প্রবণতা প্রধান খাদ্যপণ্যের দাম কমানোর ইঙ্গিত দিয়েছে। তবে, বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন কারণে দেশে মুদ্রাস্ফীতি ও সরবরাহ শৃঙ্খলে প্রভাব অব্যাহত থাকতে পারে। জানিয়ে রাখি যে, অক্টোবরে খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ১৪ মাসের সর্বোচ্চ ৬.২ শতাংশ। এদিকে, খাদ্য মুদ্রাস্ফীতি ১৫ মাসের সর্বোচ্চ ১০.৯ শতাংশে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: খেলোয়াড় কিনতে অনীহা! IPL-এর নিলামের পরেও এই দলগুলির পার্সে রয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকা
রফতানির বিষয় তথ্য মিলেছে: ওই পর্যালোচনায় রফতানির বিষয়েও তথ্য উপস্থাপিত করা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, যে ভারতের রফতানি উন্নত বাজারে মৃদু চাহিদার সম্মুখীন হতে পারে। বিশ্বব্যাপী সুদের হারের চিত্র, জিওপলিটিক্যাল ডেভেলপমেন্টস এবং আমেরিকার পরবর্তী সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত বাণিজ্য ও পুঁজি প্রবাহের দিকনির্দেশ নির্ধারণ করবে। সামগ্রিকভাবে, বিশ্বব্যাপী পরিস্থিতি বর্তমানে সংবেদনশীল অবস্থায় রয়েছে।
এদিকে, অর্থ মন্ত্রক সাবান থেকে শুরু করে বিস্কুট, তেল এবং টু-হুইলার সহ FMCG পণ্যগুলির চাহিদা বৃদ্ধির কথা বলেছে। তবে রিলায়েন্স রিটেল, হিন্দুস্তান ইউনিলিভার এবং নেসলে ইন্ডিয়ার মতো সংস্থাগুলি বলেছে যে উপভোক্তাদের চাহিদা কমছে। একই সঙ্গে দেশের বড় শিল্প সংগঠনগুলি বাজেট সংক্রান্ত তাদের দাবিতে বলেছে, সরকারের উচিত এদিকে নজর দেওয়া এবং নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য কিছু পরিমাণ ভাউচার দেওয়ার কথা ভেবে দেখা, যাতে পণ্য ও পরিষেবার ব্যবহার বাড়ে। GDP-র প্রায় ৬০ শতাংশ সম্পর্কিত এই সেক্টরটিকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা দরকার বলেও দাবি করা হয়েছে।