বাংলা হান্ট ডেস্কঃ উপনির্বাচনে রাজ্য জুড়ে ছক্কা হাঁকিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। শুরু থেকেই উপনির্বাচনকে প্রি-টেস্ট হিসেবে দেখে এসেছে দল। এই নির্বাচনী ফলাফল থেকেই ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনের নীল নকশা তৈরির কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে রাজ্যের শাসক দল। সেইসাথে রাজ্যের একাধিক পরিষেবার ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে ময়দানে নেমে পড়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
নবান্নের পাশেই মনিটরিং সেল, বড় পদক্ষেপ মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee)
২০২৬-এর আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যে নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরও আঁটোসাঁটো করার পাশাপাশি আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির দিকেও কড়া নজরদারি চালাতে এবার নতুন পদক্ষেপ নিতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। এই মুহূর্তে তারই প্রস্তুতি চলছে জোর কদমে। জানা যাচ্ছে, নবান্নের পাশেই ডিজির কন্ট্রোলরুমে তৈরি হচ্ছে বিশেষ মনিটরিং সেল।
আগামী দিনে এই মনিটরিং সেলের মাধ্যমেই গোটা রাজ্যে নজরদারি চালাবেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। এই বিশেষ কক্ষ থেকেই রাজ্যের যে কোন প্রান্তের সিসিটিভি ফুটেজ দেখা যাবে একটি ঘরে বসেই। পুলিশ এবং নবান্ন সূত্রে খবর ২০২৬ সালের নির্বাচনের আগেই ওই বিশেষ কক্ষ খুলে দেওয়ার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। এখন প্রশ্ন হল এই বিশেষ মনিটরিং সেল তৈরি করার কারণ কি?
জানা যাচ্ছে সারা বাংলা জুড়ে আইন পরিস্থিতির উপর করা নজরদারি চালাতেই এই বিশেষ মনিটরিং সেল তৈরি করা হচ্ছে। সাধারণত যে-কোনো ঘটনার তদন্ত করার ক্ষেত্রে সিসিটিভি ফুটেজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নথি হিসেবে কাজ করে। এই মনিটরিং সেলের সুবিধা এটাই যে এক ছাদের তলায় বসে এবার রাজ্যের যে কোন প্রান্তের যে কোনো দুর্ঘটনা বা গোলমাল এর ঘটনার ফুটেজ পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন: বিতর্কিত মন্তব্যের জের! ৩ দিনের মধ্যে জবাব চেয়ে, হুমায়ুন কবীরকে শোকজ করল তৃণমূল
পরবর্তীতে এই সিসিটিভি ফুটেজগুলি তদন্তের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ নথি হয়ে উঠতে পারে। যে কোনো ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে যদি জেলা পুলিশের কাছ থেকে রাজ্য পুলিশের কর্তারা রিপোর্ট চান তখনও প্রমাণ হিসাবে এই সিসিটিভি ফুটেজের ওপর জোর দেওয়া হয়ে থাকে। তবে এবার নবান্ন থেকেই সরাসরি নজরদারি চালানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
জানা আছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিকল্পনায় এবং রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারের তত্ত্বাবধানে নবান্নের পাশেই এই ডিজি কন্ট্রোল রুম তৈরির কাজ চলছে। জানা যাচ্ছে, ওয়েবেল-সহ তিনটি সরকারি এবং বেসরকারি সংস্থা এই বিশেষ কক্ষ তৈরির কাজ করছে। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক রাজ্য পুলিশের এক পদস্থ কর্তা এপ্রসঙ্গে বলেছেন, ‘চুরি-ডাকাতি-সহ যে কোনও অপরাধের ঘটনা ঘটলে সেখানকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে পুলিশ। জেলা পুলিশ তার পরিচালনার দায়িত্বে থাকে। যেমন, হাওড়া গ্রামীণে কোনও ঘটনা ঘটলে সেখানকার জেলা পুলিশ তা ‘মনিটর’ করে। তবে এ বার আরও শক্তিশালী করা হচ্ছে পুরো ব্যবস্থাকে। আইনশৃঙ্খলার দিকে নজর রেখে এটা একটা বড় উদ্যোগ।’