বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নবীন প্রবীণ দ্বন্দ্বে বিগত কয়েক দিন ধরেই তৃণমূলের অন্দরে জল্পনার শেষ নেই। ইতিমধ্যেই দলের একাংশ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতেই বেশ কিছু ক্ষমতা হস্তান্তর করার দাবি তুলছেন। কিন্তু ২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে ক্ষমতার রাশ নিজের হাতেই রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
তৃণমূল সুপ্রিমো মমতাই (Mamata Banerjee) শেষ কথা
সম্প্রতি তৃণমূলের চেয়ারপার্সনের একটি মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। বৃহস্পতিবার ঝাড়খন্ডে হেমন্ত সোরেনের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান থেকে কলকাতায় ফেরার সময় বিমানবন্দরের বাইরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। সে সময় তাঁর কাছে বাংলাদেশ ইস্যুতে তৃণমূলের অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়।
জবাবে এদিন অভিষেকের সুরেই মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) বলেন, ‘পার্লামেন্টে যা স্ট্যান্ড নেওয়ার সেটা আমাদের ইন্ডিভিজুয়াল কারও ম্যাটার নয়। এই ম্যাটারটা নিয়ে স্ট্যান্ড নেবে লোকসভা এবং রাজ্যসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদীয় দল।’
সেইসাথে এদিন দলনেত্রী জানান, লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, চিফ হুইপ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যসভায় তৃণমূলের দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন, ডেপুটি সাগরিকা ঘোষ এবং চিফ হুইপ নাদিমুল হকরা সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে তাঁরা পরামর্শ চাইলে তিনিও নিজের মতামত দেবেন।
দিল্লিতে তৃণমূল সাংসদদের নিয়ে বৈঠকের পর বাংলাদেশ ইস্যুতে দলের অবস্থান স্পষ্ট করে অভিষেক জানিয়েছিলেন এক্ষেত্রে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তই মেনে নেবে দল। তারপর এই বাংলাদেশ ইস্যুতে একই সুর শোনা গেল মমতার গলাতেও।
আরও পড়ুন: নতুন বছরের শুরুতেই বাড়বে DA, কত শতাংশ? রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য পাকা খবর
প্রসঙ্গত সোমবার তৃণমূলের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকের পর জল্পনা তৈরী হয়েছিল অভিষেককে পশ্চিমবঙ্গ থেকে কিছুটা দূরে সরিয়ে রাখা হচ্ছে। যদিও শুরুতেই থেকেই সেই জল্পনা উড়িয়ে দিয়ে আসছে শাসকদল। এপ্রসঙ্গে তৃণমূলের তথ্যপ্রযুক্তি সেলের প্রধান দেবাংশু ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘অকারণ বিতর্কের জায়গা নেই। তৃণমূল একটি মানবদেহ হলে, তার প্রাণশক্তি হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই একই দেহের রক্তের নাম অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই দেহের মাংস, মজ্জা ও চামড়া হলেন বুথস্তরের সেই কর্মীরা, যাঁরা সমস্ত ঝড়, জল থেকে এই সমগ্র দেহকে আগলে রাখেন। এই ত্রিশক্তিকে সর্বশক্তিমান ভালো রাখুন, এটুকুই তাঁর কাছে কামনা।’
তারপরেই তৃণমূল শিবিরের দাবি মমতা বৃহস্পতিবার জনসমক্ষে যে বার্তা দিয়েছেন, বুধবার সেই কথাই দলের সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকে জানিয়েছেন অভিষেক। অর্থাৎ কাওকেই আগ বাড়িয়ে কিছু করতে নিষেধ করেছে দল।