বাংলা হান্ট ডেস্কঃ তৃণমূলের (Trinamool Congress) অনেক পুরনো সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। এবার তিনিই রাজ্যসভায় নিজের আসন বদলানোর আর্জি জানালেন। এদিন আসন বদলের জন্য চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকড়কে চিঠি পাঠিয়েছেন তিনি। দ্বিতীয় সারির আসন থেকে এবার তিনি চলে আসতে চাইছেন পিছনের সারিতে।
তৃণমূল (Trinamool Congress) সাংসদ সুখেন্দুর ‘লাস্ট বেঞ্চ’ যাওয়ার আর্জিতে তোলপাড়
আর তারপর থেকেই তৃণমূলের (Trinamool Congress) এই বর্ষিয়ান রাজনৈতি কে নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন জল্পনা। প্রসঙ্গত আরজিকার কান্ডের পর মুখ খুলে ছিলেন রাজ্যসভার সংসদ সুখেন্দুশেখর। গত ৯ আগস্ট আরজিকর হাসপাতালের নির্মম ধর্ষণ হত্যাকাণ্ডের পর প্রতিদিন রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ আন্দোলনে সামিল হয়েছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকদের পাশাপাশি আমজনতাও।
সে সময় কখনও গান লিখে আবার কখনও পোস্ট করে ঘটনার বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন এই বর্ষীয়ান তৃণমূল (Trinamool Congress) সাংসদ। এই ঘটনায় জেরে বেজায় অস্বস্তি পড়েছিল দল। সমস্যা বেড়েছিল সুখেন্দুর-ও। সে সময় লালবাজারে তলব করা হয়েছিল তাঁকে। যদিও তাঁর বক্তব্য নিয়ে দলের কেউই সরাসরি কখনও মুখ খোলেননি বা তাঁকে সমর্থনও করেননি।
তবে সম্প্রতি চারপাশের কর্মকাণ্ড দেখে মনে করা হচ্ছে এবার দলের সাথে দূরত্ব বেড়েছে সুখেন্দুর। বিশেষ করে সোমবার দলের কর্মসমিতির বৈঠকে তিনি ডাক না পাওয়ায় বিষয়টি আরও বেশি করে নজরে এসেছে সকলের। প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়াচ্ছেন এই বর্ষিয়ান সাংসদ?
আরও পড়ুন: নিজের নামে কত টাকার স্বাস্থ্যবিমা করেছেন মমতা? অবাক করবে টাকার অঙ্ক
এরই মধ্যে রাজ্যসভার চেয়ারম্যানকে তার বর্তমান আসন বদলানোর চিঠি দিয়ে সেই জল্পনার আগুনে কার্যত ঘি ঢেলেছেন সুখেন্দু। তবে জানা যাচ্ছে আসন বদলানোর পিছনে যুক্তি দিয়ে সুখেন্দু বাবু জানিয়েছেন, যেহেতু তাঁর শারীরিক অবস্থা ভালো নয়, চলাফেরায় সমস্যা হচ্ছে সেই জন্য তিনি দ্বিতীয় সারি থেকে পিছনের দিকে আসতে চাইছেন।
তবে এই বিষয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিরোধীরা। এপ্রসঙ্গে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, ‘তৃণমূলে তো একটাই পদ। সুখেন্দুবাবু অনেক পুরনো সাংসদ। কিন্তু আর জি কর কাণ্ডে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। দল ওঁকে সর্তক করেনি, আবার জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকেও ডাক পাননি। তৃণমূল ওঁকে চাইছে না। উনিও হয়তো থাকতে চাইছেন না।’