বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গত বছর মে মাসে গ্রেফতার হয়েছিলেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকু (Kalighater Kaku)। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি। এবার সেই সুজয়কৃষ্ণকে নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়ল আরেক কেন্দ্রীয় এজেন্সি সিবিআই। প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট জারির পরের দিনই কীভাবে হেফাজতে নেওয়ার আর্জি? প্রশ্ন করল আদালত।
কালীঘাটের কাকুকে (Kalighater Kaku) নিয়ে বড় নির্দেশ হাইকোর্টের!
শুক্রবার ‘কাকু’র আগাম জামিন মামলায় উচ্চ আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়ে সিবিআই (CBI)। কেন্দ্রীয় এজেন্সির তরফ থেকে সুজয়কৃষ্ণকে হেফাজতে নিতে চেয়ে আবেদন জানানো হয়েছিল। গত বৃহস্পতিবার ওই মামলার শুনানিতে বেশ কিছু প্রশ্ন করেন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি।
এতদিন জিজ্ঞাসাবাদের কথা মনে হল না? ইডির মামলায় ‘কাকু’র জামিন পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হওয়াতেই কি আসরে নামতে চাইছে সিবিআই? জানতে চায় হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। গতকালের শুনানিতেও ফের একবার উচ্চ আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়ে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রীয় এজেন্সি।
আরও পড়ুনঃ ‘আপনাকে দ্রাবিড়ের মতো দেখতে’! শোনামাত্রই হেসে ফেললেন চন্দ্রচূড়! প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি বললেন…
জাস্টিস জয়মাল্য বাগচি (Justice Joymalya Bagchi) এদিন জানতে চান, প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট জারির পরদিনই কীভাবে ফের শোন অ্যারেস্ট দেখানোর ও হেফাজতে নেওয়ার আর্জি জানাল সিবিআই? কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সংশ্লিষ্ট দফতর কেন এই তদন্তকারী আধিকারিকদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেবে না, সেটাও জানতে চান বিচারপতি বাগচি। এরপরেই বড় নির্দেশ দেয় আদালত।
হাইকোর্টের মৌখিক নির্দেশ, এই মামলায় সিবিআই কিছু করবে না। আগাম জামিনের মামলা আপাতত আদালতে বিচারাধীন থাকল। ৩ সপ্তাহ পর ফের এই নিয়ে শুনানি হবে। তার আগে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত। এদিকে আইনজীবীদের একাংশের মতে, হাইকোর্টের এই মৌখিক নির্দেশের জন্য এখনই কালীঘাটের কাকুকে (Kalighater Kaku) গ্রেফতার করতে পারে না সিবিআই। এর ফলে আপাতত সুজয়কৃষ্ণের স্বস্তি বাড়ল বলেই মনে করা হচ্ছে।