বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিয়েতে অসম্মতি দেওয়ার অর্থ কোনভাবেই কাউকে আত্মহত্যার প্ররোচিত করা নয়। সম্প্রতি একটি মামলার পর্যবেক্ষণে এমনটাই জানিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত (Supreme Court)। ২০০৭ সালের ১৮ই আগস্ট যুবকের কাছ থেকে বিয়েতে অসম্মতি পাওয়ার পর বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছিল তরুণী।
বড় পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court)
অভিযোগ ১৩ বছর বয়স থেকে ওই যুবকের সাথে সম্পর্ক ছিল তরুণীর। দীর্ঘ ৮ বছর সম্পর্কে থাকার পর বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েও বিয়ে করতে অস্বীকার করেন যুবক। এই মামলায় আদালতের পর্যবেক্ষণ যুবক বিয়েতে অসম্মত হলেও বিষ পান করে আত্মহত্যা করার কথা আগে থেকেই ভেবেছিল যুবতী। তাই সে আগে থেকেই বিষ নিয়ে গিয়েছিল। ফলে এই মামলায় কোন ভাবেই ওই যুবকের বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ তোলা যায় না।
সম্প্রতি পর্যবেক্ষণে এমনটাই জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) বিচারপতি মিথল ও বিচারপতি উজ্জ্বল ভূঁইয়ার ডিভিশন বেঞ্চ। এই বেঞ্চের তরফে জানানো হয়েছে প্ররোচনা বলতে কাউকে আত্মহত্যা করতে প্ররোচিত করা বা ইচ্ছাকৃতভাবে সাহায্য করার মানসিক প্রক্রিয়া জড়িত থাকে। কিন্তু এক্ষেত্রে ১৩ বছর বয়স থেকে ওই মেয়েটির ছেলেটির সঙ্গে সম্পর্কে ছিল।
২১ বছর বয়সে পা রাখার পর সে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। এই প্রেক্ষাপটে মেয়েটিকে প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ আনলে প্রথমে তা নিম্ম আদালতে খারিজ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু কর্ণাটকের রাজ্য সরকারের আবেদনের ভিত্তিতে প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে চার বছর এবং ঠকানোর জন্য আরো এক বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: কথা রাখেননি মেয়র ফিরহাদ! বিস্ফোরক অভিযোগ সেরিব্রাল পলসি আক্রান্ত আফরিনের
এবার হাইকোর্টের সেই রায় খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। এই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার জন্য সরাসরি যুক্ত এমন কোন অভিযোগ ওই যুবকের বিরুদ্ধে আদালতে পেশ করা হয়নি। আদালতে যে প্রমাণ দেওয়া হয়েছে তা থেকে অভিযুক্ত তরুণীকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দিয়েছিল এমনটা কোথাও ইঙ্গিত করা হচ্ছে না।
আদালতের মতে যুবক-যুবতীর সম্পর্ক থাকলেও তা পরে ভেঙে গেলে কিংবা বিবাহে অসম্মতি জানালে কোন ভাবেই আত্মহত্যার প্ররোচনা হিসেবে দাবি করা যায় না। কারণ এই সম্পর্ক ভেঙে যাওয়া সমাজেরই একটি অংশ। এর জন্য কাউকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করা যায় না। কারণ ওই যুবক শুধু বিবাহে অসম্মতি জানিয়েছিলেন। আর সমাজে সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটে চলেছে।