বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক ধর্ষণ খুনের ঘটনার রেশ এখনও কাটেনি। এই আবহে শনিবার আমতলায় ডক্টরস কনভেনশনে যোগ দেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ তথা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। সেখানে দাঁড়িয়ে ধর্ষণের ঘটনায় মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে ফের একবার সরব হন তিনি। একইসঙ্গে সমগ্র দেশে ধর্ষণ বিরোধী আইন চালু করার কথাও বলেন।
ধর্ষণের ঘটনায় মৃত্যুদণ্ডের দাবি তুললেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)!
তৃণমূল (Trinamool Congress) সাংসদ এদিন বলেন, আগামী দিন পশ্চিমবঙ্গের সব জায়গায় ডাক্তারদের নিয়ে শিবির করবেন। এরপরেই ধর্ষণমুক্ত সমাজ নিয়ে মুখ খোলেন তিনি। অভিষেক বলেন, ‘প্রথম দিন থেকে আরজি কর হাসপাতালের ঘটনার নিন্দা করছি আমি। বারবার বলেছি, এই ধরণের ঘটনা যারা ঘটায়, তাঁদের সমাজে বেঁচে থাকার কোনও অধিকার নেই। আজও সেই একই কথা বলছি… ধর্ষণ ব্যাধির একমাত্র সমাধান হল আইন… প্রত্যেক ১০ মিনিটে একটি করে এবং প্রতি ঘণ্টায় ৬টা করে ধর্ষণ হচ্ছে আমাদের দেশে’।
অভিষেক (Abhishek Banerjee) এদিন রাজ্য সরকারের ‘অপরাজিতা বিল’ নিয়েও কথা বলেন। তৃণমূল সেনাপতি জানান, ইতিমধ্যেই বিধানসভায় ওই বিল পাশ হয়েছে। তবে এখন তা রাষ্ট্রপতির কাছে পড়ে রয়েছে। যদি দরকার পড়ে তাহলে প্রাইভেট বিল আনবেন বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুনঃ ‘পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে…’! সন্দীপদের বিরুদ্ধে চার্জশিট নিল না আদালত! আরজি কর মামলায় বিরাট মোড়
ডায়মন্ড হারবারের সাংসদের কথায়, ধর্ষণ রোখার একমাত্র দাওয়াই হল ধর্ষণবিরোধী আইন। এদিন ধর্ষণ আটকানোর ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের (Central Government) সদিচ্ছা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। অভিষেক বলেন, ‘কেন্দ্র চাইলে, একদিন লাগবে। অর্ডিন্যান্স আনতে পারে। জি-২০ সম্মেলনের সময় অর্ডিন্যান্স এনে দিল্লির নির্বাচিত সরকারের ক্ষমতা কেড়ে নিল। সুপ্রিম কোর্টের বিরুদ্ধে গিয়ে, আদালত অবমাননা করে তিন বার ইডির ডিরেক্টরের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। তাহলে অর্ডিন্যান্স করে ধর্ষণ বিরোধী আইন কেন আনা হচ্ছে না?’
অভিষেকের (Abhishek Banerjee) কথার সূত্রে গুজরাটের বিলকিস বানো ধর্ষণ কাণ্ডের কথাও উঠে আসে। তিনি বলেন, ‘গুজরাতে ১০ বছর পর সব ছাড়া পেয়ে গিয়েছে। আমার কথা ভালো না লাগতে পারে। তবে আমি বলছি, পারিপার্শ্বিক প্রমাণ যখন একজনের বিরুদ্ধে, সেই লোককে জেলে বসিয়ে কেন তিন বেলা খাওয়াব? মৃত্যুদণ্ড কেন হবে না? ৫ বছর ধরে জেলে রাখব, দায়রা আদালত, হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট ঘুরে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করবে। এদিকে তাঁকে ৬ বছর জেলে রেখে দিনে দু’বার করে চা, দু’বেলা খাওয়ানোর খরচ কম করে ৩০০ টাকা। মাসে ৯০০০ টাকা। বছরে কয়েক লক্ষ টাকা। সেই টাকায় গরিব মানুষের বাড়ি হয়ে যাবে। ওঁর পিছনে কেন ওই টাকা খরচ করব? ওদের বেঁচে থাকার কোনও অধিকার নেই’।