বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আবারও কেন্দ্রীয় (Central Government) প্রকল্পে বাংলার প্রতি বঞ্চনার অভিযোগ। এমনিতেই ১০০ দিনের কাজ থেকে শুরু করে গ্রামীণ আবাস যোজনায় টাকা না পাওয়া কিংবা প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা, অথবা বাড়ি বাড়ি জল সংযোগের প্রকল্পে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ না মেলায় ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের (Central Government) বিরুদ্ধে সরব রাজ্যের শাসক দল।
কেন্দ্রের (Central Government) বিরুদ্ধে ‘বঞ্চনা’র অভিযোগে সরব রাজ্য
এরই মধ্যে এবার দেশজুড়ে চালু হওয়া নতুন কেন্দ্রীয় পর্যটন প্রকল্পে বাদ পড়ল রাজ্যের নাম। যা থেকে পশ্চিমবঙ্গের প্রতি কেন্দ্রের (Central Government) বঞ্চনার ছবিটা স্পষ্ট হয়ে উঠল আরও একবার। সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আন্তর্জাতিক মানের ৪০টি আইকনিক টুরিস্ট ডেস্টিনেশন গড়ে তুলতে প্রায় তিন হাজার টাকা বরাদ্দ করার কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
কিন্তু প্রাপকদের তালিকায় সিকিম, আসাম কিংবা বিহারের নাম থাকলেও নাম নেই পশ্চিমবঙ্গের। আর এই নিয়েই এবার শুরু হয়েছে ব্যাপক চাপানউতর। সূত্রের খবর, চলতি সপ্তাহেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দফতরে বিবেচনার পর, অর্থ মন্ত্রকের সম্মতিতে কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রক ওই প্রকল্পের ছাড়পত্রের কথা রাজ্যগুলিকে জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: জাতীয় পতাকায় পা, হিন্দুদের অত্যাচার! বাংলাদেশকে ‘ওদের ভাষায়’ জবাব দেওয়ার নিদান অভিষেকের
সেখানে দেশের মোট ২৩টি রাজ্যের ৪০টি পর্যটন প্রকল্পের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে উত্তরবঙ্গ লাগোয়া সিকিমের নামচির ভালেদুঙ্গা। এই পর্যটনকেন্দ্রে অত্যাধুনিক মানের নতুন ‘স্কাইওয়াক’ তৈরির জন্য ৯৭.৩৭ কোটি। এছাড়াও ভারত-চিন সীমান্তের নাথুলাকে দেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তুলতে মোট ৬৮.১৯ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় প্রকল্পে টাকা না পাওয়ার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই এবিষয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ। কেন্দ্রের প্রতি ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি বলেছেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকার নানা ভাবে বাংলার সরকারকে হেয় করার চেষ্টা করছে। এ জন্যে নানা প্রকল্পে টাকা আটকে দিচ্ছে। রাজ্যের ন্যায্য পাওনা দিচ্ছে না।’ একইসাথে তাঁর অভিযোগ, ‘বিজেপি বাংলাকে বঞ্চনা করে চলছে।’
তবে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এ প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘রাজ্য সরকারের অসহযোগিতাতেই কেন্দ্রীয় সরকার বার বার এ রাজ্যের প্রতি বিমুখ হয়ে পড়ছে।’ তবে তিনি আক্ষেপের সুরেই এদিন বললেন, ‘এই প্রতিযোগিতায় যোগদানের চেষ্টায় রাজ্য পর্যটন দফতরের তরফে খামতি ছিল বলে জেনেছি। এত বড় কর্মযজ্ঞে আমাদের রাজ্য সুযোগ হারাল জেনে আমারও খারাপ লাগছে।’