বাংলা হান্ট ডেস্ক: সাম্প্রতিক সময়ে ফের বিতর্কের সম্মুখীন হয়েছেন ভারতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ধনকুবের গৌতম আদানি (Gautam Adani)। গত শনিবার তিনি জেম অ্যান্ড জুয়েলারি অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে অংশ নিতে জয়পুরে উপস্থিত হয়েছিলেন। সেই সময়ে এই ধনকুবের আদানি গ্রুপের কোম্পানিগুলির বিরুদ্ধে আমেরিকার তোলা অভিযোগ নিয়ে খোলামেলাভাবে কথা বলেন। যেটি ইতিমধ্যেই উঠে এসেছে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।
কি জানিয়েছেন গৌতম আদানি (Gautam Adani):
এই প্রসঙ্গে আদানি (Gautam Adani) স্পষ্ট জানিয়েছেন যে, গ্রুপের একটিও কোম্পানি বা ব্যক্তি কোনও অন্যায় করেনি। শুধু তাই নয়, ওই গ্রুপের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেও দাবি করেছেন তিনি। আদানি জানান যে, তাঁকে রাজনৈতিক বিতর্কে জড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে, এই ধরণের পদক্ষেপ তাঁকে আরও শক্তিশালী হতে উৎসাহিত করে বলেও জানান তিনি।
একটিও অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি: গৌতম আদানি (Gautam Adani) বলেছেন যে “এটি প্রথমবার নয় যে তাঁর গ্রুপের কোম্পানিগুলি অভিযোগের সম্মুখীন হয়েছে। বরং, এমন অভিযোগ এর আগেও সামনে এসেছে। আমরা এগুলিকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করি এবং নিজেদেরকে আরও শক্তিশালী করে গড়ে তুলি।”
তিনি (Gautam Adani) বলেন, “গ্রুপের কোনও কোম্পানি বা ব্যক্তির বিরুদ্ধে আমেরিকার ফরেন কোরাপ্ট প্র্যাকটিস অ্যাক্ট লঙ্ঘন বা ষড়যন্ত্রের অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। আদানি গ্রুপ বিশ্ব-মানের রেগুলেটরি সম্মতিতে সম্পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমেরিকায় যে অভিযোগ উঠেছে, তাতে শক্তভাবে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরবে সংস্থাটি।”
আরও পড়ুন: ২ বছরের অপেক্ষার অবসান! ট্রফির খরা কাটিয়ে উঠলেন সিন্ধু, চিনা প্রতিপক্ষকে হারিয়ে জিতলেন খেতাব
“অতীতেও অভিযোগ উঠেছিল”: গৌতম আদানি (Gautam Adani) আরও বলেছেন যে, “২০২৩ সালের জানুয়ারিতেও আমরা একটি ফলো-অন পাবলিক অফার লঞ্চ করতে যাচ্ছিলাম। সেই দিনগুলিতে সংস্থাটি বিদেশ থেকে শর্ট-সেলিং আক্রমণের মুখোমুখি হয়েছিল। সেটি শুধু একটি অর্থনৈতিক আক্রমণ নয় বরং একটি দ্বৈত আক্রমণ ছিল। গ্রুপের আর্থিক স্থিতিশীলতা লক্ষ্য করা হয়েছিল এবং আমরা রাজনৈতিক বিতর্কেও জড়িয়েছিলাম।”
আরও পড়ুন: চূড়ান্ত ফ্লপ! অনুরাগীদের মন ভাঙলেন রোহিত শর্মা, অ্যাডিলেড টেস্টের আগে চিন্তা বাড়ল ভারতের
আদানি (Gautam Adani) বলেন, “কিন্তু দলটি সাহস দেখিয়েছিল এবং দ্রুত সমস্ত অভিযোগের জবাব দেয়।” এদিকে রত্ন ও গহনা শিল্প সম্পর্কে, আদানি জানান যে, এই শিল্পটি কেবল অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাধ্যম নয়, এটি ভারতের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যেরও প্রতীক। যেখানে ৫০ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে।