বাংলাহান্ট ডেস্ক : ভারতীয় সঙ্গীত জগতের কিংবদন্তিদের মধ্যে অন্যতম নাম মহম্মদ রফি (Mohammad Rafi)। ভারতীয় সঙ্গীতশিল্পীদের মধ্যে জনপ্রিয়তার নিরিখে প্রথম দিকেই আসবে তাঁর নাম। সম্প্রতি গোয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক ভারতীয় চলচ্চিত্র উৎসবে রফির (Mohammad Rafi) স্মরণে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই কিংবদন্তি গায়কের বিষয়ে কিছু কথা বলতে শোনা যায় আরেক প্রতিভাবান সঙ্গীতশিল্পী সোনু নিগমকে।
মহম্মদ রফিকে (Mohammad Rafi) নিয়ে কী বললেন সোনু নিগম
গোয়ায় সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়েছিল ৫৫ তম আন্তর্জাতিক ভারতীয় চলচ্চিত্র উৎসব। সেখানেই একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। ‘আসমান সে আয়া ফরিশতা- আ ট্রিবিউট টু মহম্মদ রফি’, অনুষ্ঠানে শিল্পীর বিষয়ে বলতে গিয়ে সোনু মন্তব্য করেন, মহম্মদ রফি (Mohammad Rafi) ধর্ম বদলে ভজন গাইতেন।
সব নায়কের জন্যই মানানসই ছিল তাঁর কণ্ঠ: তিনি বলেন, ‘এই মানুষটা হাম কালে হ্যায় তো কেয়া হুয়া দিলওয়ালে হ্যায়’ গান গেয়েছেন, আবার সর যো তেরা চকরায়ে ইয়া দিল ডুবা যায়ে-ও গেয়েছেন। দিলীপ কুমার থেকে জনি লিভার, মেহমুদ, এমনকি ঋষি কাপুরের কণ্ঠেও মানিয়ে যেত তাঁর গান।’
আরো পড়ুন : পরিণতি পায়নি সম্পর্ক, তবু এত বছর পরেও অটুট প্রেম! অমিতাভের সঙ্গে এখনো দেখা হয় রেখার!
ভজনও দারুণ গাইতেন রফি: এরপরেই সোনু বলেন, ‘ওঁর কণ্ঠে ভজন শুনে মনে হয়, নিশ্চয়ই কোনো হিন্দু গাইছে। কিন্তু উনি মুসলিম, নমাজ পড়তেন। অথচ গান গাওয়ার সময় কীভাবে ধর্ম বদলে যেত ওঁর!’ সোনু আরো বলেন, এটা সত্যিই বড় ব্যাপার। সবার পক্ষে করা সম্ভব নয়। এমন অনেক গায়ক আছেন যাঁরা সুফি গান খুব সুন্দর গাইলেও ভজন গাইতে পারেন না।
আরো পড়ুন : বক্স অফিসে দাপট হরর কমেডির, আগামীতে মুক্তির অপেক্ষায় ৪ টি দুর্দান্ত ছবি
এখানেই আলাদা ছিলেন মহম্মদ রফি (Mohammad Rafi)। তিনি যেমন রমজানের জন্য গেয়েছেন, তেমনি গেয়েছেন রাখি বন্ধন উৎসবের জন্যও। আনন্দ, দুঃখ সব ধরণের অনুভূতির জন্যই রয়েছে তাঁর গান। এমনকি সবথেকে জনপ্রিয় জন্মদিনের গানটাও কিন্তু মহকুমা রফিরই গাওয়া!