বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বাংলাদেশের হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ প্রভুর গ্রেফতারির পর থেকে প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন ওপার বাংলার সংখ্যালঘু হিন্দুরা। চিন্ময়কৃষ্ণ প্রভুর জামিনের আর্জি খারিজ হয়ে যাওয়ার পর থেকেই লাগাতার সেদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর বেড়ে চলে অত্যাচারের মাত্রা। এরইমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে বাংলাদেশের এক বিশ্ববিদ্যালয় ভারতের জাতীয় পতাকা অবমাননার ছবি।
বাংলাদেশীদের হোটেল থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার নিদান দিল Rss
পাশাপাশি অভিযোগ উঠছে বাংলাদেশে নাকি নির্বিচারে হিন্দুহত্যা চলছে। বাংলাদেশের এই অশান্তির ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন এপার বাংলার তথা গোটা ভারতবর্ষের মানুষজন। এবার এই বিষয়েই স্পষ্ট বার্তা দিল আরএসএস (Rss)। তারা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার বন্ধ না হলে চিকিৎসা পরিষেবা তো দূরের কথা এমনকি হোটেলে গেলেও তাদের যেন খাবার না দেওয়া হয় বাংলাদেশের নাগরিকদের।
বাংলাদেশে ভারতের জাতীয় পতাকা অবমাননা করার ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতলের বাংলাদেশীদের জন্য চিকিৎসা পরিষেবা বয়কট করার ডাক দিয়েছিল। প্রসঙ্গত ভারতের উন্নত মানের চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়ার জন্য পড়শী দেশ থেকে বহু মানুষ আসেন। কিন্তু বাংলাদেশের অরাজকতা দেখে এবার তাদের জন্য সমস্ত পরিষেবা দেওয়া বন্ধ করে দিয়ে সামাজিক ভাবে বয়কট করার ডাক দিল অখিলভারত হিন্দু মহাসভা অর্থ্যাৎ RSS।
আরও পড়ুন: চাপ চাপ রক্ত, হাত-পা ভাঙা! ৩ বছরের শিশুকে ধর্ষণ করে এভাবে খুন! ঘটনা শুনলে রক্ত জল হবে
রবিবার আরএসএস (Rss) অখিল ভারত হিন্দু মহাসভার রাজ্য সভাপতি ডক্টর চন্দ্রচূড় গোস্বামী বাংলাদেশিদের বয়কটের ডাক দিয়ে বলেছেন ভারতবর্ষ একসময় বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের লড়াইয়ে তাদের ব্যাপকভাবে সাহায্য করেছিল। এমনকি সেই সময় বাংলাদেশকে স্বাধীনতা পাইয়ে দেওয়ার জন্য অনেক ভারতীয় সেনা সেই সময় নিজেদের রক্ত পর্যন্ত ঝড়িয়েছিল।
আর সেই বাংলাদেশ আজ বেইমানের মতো আচরণ করছে। সেইসাথে দাবি করা হচ্ছে সারা বিশ্বে আরও অনেক মুসলিম রাষ্ট্র রয়েছে কিন্তু তারা কখনই এমন করে না। প্রশ্ন উঠছে মহম্মদ ইউনুস কিভাবে শান্তির জন্য নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন তা নিয়েও।এ প্রসঙ্গে আরএসএসের রাজ্য সভাপতি বলেছেন, ‘আমরা প্রতিবাদ করছি। তবে প্রতিশোধ নেওয়া প্রয়োজন। কারণ এরা পরবর্তীতে সন্ত্রাস ছড়াবে। এরা পৃথিবীর কলঙ্ক। সারা ভারতের উচিত বাংলাদেশকে বয়কট করা। শুধু চিকিৎসা নয়, কোনও হোটেলে খেতে গেলে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া উচিত।’