বাংলাহান্ট ডেস্ক : ৭১ এর আন্দোলনকে কার্যত উড়িয়ে দিয়ে ২০২৪ কেই আসল ‘স্বাধীনতার আন্দোলন’ বলে দাবি করেছিলেন বহু বাংলাদেশি। কোটা বিরোধী ছাত্র আন্দোলন হিসেবে যা শুরু হয়েছিল, তা সম্মিলিত জনরোষে পরিণত হতেই দেশ এবং ক্ষমতা ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ‘নতুন’ বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হন মহম্মদ ইউনূস (Muhammad Yunus)। তারপর থেকে দেশ বদলে উঠেপড়ে লেগেছে নতুন সরকার। আর এবার বাংলাদেশে ‘জয় বাংলা’ স্লোগানকেও বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিল ইউনূস (Muhammad Yunus) সরকার।
জয় বাংলা কে বাতিল করতে উদ্যোগী ইউনূস (Muhammad Yunus) সরকার
২০২০ সালে জয় বাংলা কে বাংলাদেশের জাতীয় স্লোগান ঘোষণা করে রায় দিয়েছিল হাইকোর্ট। কিন্তু এবার বাংলাদেশ হাইকোর্টের রায় বাতিল করার আবেদন করা হয়েছে রাষ্ট্রের তরফে। আগামী রবিবার রয়েছে শুনানির তারিখ। ইউনূস (Muhammad Yunus) সরকারের এই সিদ্ধান্তে সমালোচনার সুর আরো তীব্র হয়েছে বিভিন্ন মহলে।
বহু পুরনো স্লোগান জয় বাংলা: বাংলাদেশের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে জয় বাংলা স্লোগান। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন থেকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সংগ্রামেও অন্যতম হাতিয়ার হয়েছিল এই স্লোগান। ওপার বাংলার আওয়ামী লীগ সহ বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনও জয় বাংলা কেই দেশের জাতীয় স্লোগান হিসেবে মানে।
আরো পড়ুন : ট্রেনিং শেষ করেও যোগ দেওয়া হল না চাকরিতে! ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনায় মর্মান্তিক মৃত্যু IPS আধিকারিকের
হাসিনাকে নির্মূল করার পরিকল্পনা: উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী জয় বাংলা কে জাতীয় স্লোগান হিসেবে ঘোষণা করার জন্য রিট পিটিশন দাখিল করেছিলেন। ২০২০ সালে হাইকোর্ট একে জাতীয় স্লোগান ঘোষণা করে। দু বছর পর ২০২২ এ রাষ্ট্রীয়ভাবে জয় বাংলা কে জাতীয় স্লোগান হিসেবে স্বীকৃতি দেয় প্রাক্তন হাসিনা সরকার। কিন্তু পুরনো সরকারের পতনের পরেই এবার ইউনূসের (Muhammad Yunus) নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবার এই স্লোগানেও নিষেধাজ্ঞা জারি করতে তৎপর।
আরো পড়ুন : পড়শি দেশের “কাঙাল” অবস্থা! ভারতের ১ লক্ষ টাকা পাকিস্তানি রুপিতে কত হবে? জানলে পাবেন দুঃখ
এখানেই শেষ নয়। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন ১৫ অগাস্ট, শেখ মুজিবুর হত্যার দিনকে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালন করা শুরু করেছিল। পরবর্তীতে ২০০২ এ বিএনপি সরকার এই দিনটি বাতিল করলেও ২০০৯ সালে ফের হাইকোর্ট ১৫ ই অগাস্ট কেই জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা করে। সেই মতোই পালন করা হচ্ছিল। কিন্তু নতুন সরকার এসেই এই ছুটিও সম্পূর্ণ ভাবে বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।