বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক ধর্ষণ খুনের ঘটনায় (RG Kar Case) ইতিমধ্যেই ট্রায়াল শুরু হয়েছে। সোমবার শিয়ালদহ আদালতে সেই মামলার শুনানি ছিল। এদিন আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের আইনজীবীরা ফের একবার নিজেদের মক্কেলের জামিনের আবেদন করেন। তবে বিরোধিতা করে সিবিআই। কেন্দ্রীয় এজেন্সির তরফ থেকে দাবি করা হয়, তদন্তের প্রয়োজনে রাজ্যের একজন পুলিশ কমিশনারের কাছেই তাঁরা পৌঁছতে পারছিল না।
আরজি কর মামলায় (RG Kar Case) ‘এক পুলিশ কমিশনার’কে নিয়ে বিস্ফোরক সিবিআই!
এদিন অভিজিতের (Abhijit Mondal) আইনজীবী জামিনের হয়ে সওয়াল করতেই বিরোধিতা করে ওঠে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। তাদের বক্তব্য, জামিন পেলে পালিয়ে যেতে পারেন টালা থানার প্রাক্তন ওসি। এরপরেই রাজ্যের ‘এক পুলিশ কমিশনারে’র প্রসঙ্গ উত্থাপন করে তদন্তকারী সংস্থা জানায়, তদন্তের খাতিরে তাঁর কাছে পৌঁছনো যাচ্ছিল না।
এদিন সিবিআইয়ের (CBI) তরফ থেকে অভিজিতের পালিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করা হতেই পাল্টা তাঁর আইনজীবী বলেন, তাঁর মক্কেল একজন সরকারি কর্মী। তাঁর পালিয়ে যাওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। সিবিআই আইনজীবী আবার প্রত্যুত্তর দেয়, ‘সরকারি কর্মী যে পালাতে পারেন না, এমন কথা কে দিয়েছে?’
আরও পড়ুনঃ এই প্রথম! নবান্নে যাবেন মহম্মদ সেলিম! ‘আসল কারণ’ ফাঁস হতেই শোরগোল!
অভিজিতের আইনজীবী তখন পালানোর উদাহরণ রয়েছে কিনা জানতে চান। সিবিআইয়ের আইনজীবী তখন বলেন, ‘এই রাজ্যেই আছেন, এমন এক পুলিশ কমিশনারের কাছে পৌঁছনো যাচ্ছিল না’। যদিও সেই পুলিশ কমিশনার কে, তিনি প্রাক্তন নাকি বর্তমান, সেই বিষয়ে আদালতে কিছু খোলসা করেনি কেন্দ্রীয় এজেন্সি।
অভিজিতের পাশাপাশি আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Case) তথ্য প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে আরেক ধৃত সন্দীপ ঘোষের আইনজীবীও এদিন নিজের মক্কেলের জামিন চেয়ে জোরালো সওয়াল করেন। সিবিআইয়ের তরফ থেকে সেটারও বিরোধিতা করা হয়। কেন্দ্রীয় এজেন্সির তরফ থেকে বলা হয়, পরিস্থিতির কোনও পরিবর্তন হয়নি। সেই কারণে সন্দীপকে জামিন দেওয়াটা উচিত হবে না। এদিন সন্দীপ ও অভিজিৎকে ১০ দিন বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রাখার আর্জি জানায় সিবিআই। আগামী ৯ ডিসেম্বর আবার তাঁদের আদালতে উপস্থিত করানোর নির্দেশ দিয়েছে শিয়ালদহ আদালত।