মিলবেই DA! এবার নয়া ‘চাল’ বাংলার সরকারি কর্মীদের, কতটা চাপে মমতা সরকার?

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২০২৪ প্রায় শেষ। তবে এই সময়ে দাঁড়িয়েও সুরাহা হয়নি বাংলার সরকারি কর্মীদের ডিএ (Dearness Allowance) মামলার। সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসের ৭ তারিখ। আপাতত সেই অপেক্ষায় সকলে। এরই মধ্যে বড় খবর দিলেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ।

সুপ্রিম কোর্টে চলা বাংলার সরকারি কর্মীদের ডিএ মামলায় (DA Case) যুক্ত হওয়ার জন্য তোড়জোড় চালানো হচ্ছে বলে দাবি করলেন ভাস্করবাবু। এই বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের পক্ষ থেকে ডিএ মামলায় যুক্ত হওয়ার জন্য কাজ পূর্ণ উদ্যমে চলছে। সবথেকে নামকরা আইনজীবী টিম থাকছে।’

৭ জানুয়ারি ডিএ মামলা উঠতে চলেছে সুপ্রিম কোর্টে। ৭ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) সুপ্রিম কোর্টে পঞ্চম বেতন কমিশনের আওতায় পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ মামলার শুনানি। সেই মামলার শুনানিতেই সামিল হওয়ার জন্য সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে আবেদন জানানো হবে কিনা, সেই দিকে নজর থাকবে।

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ২০ মে ডিএ মামলা হাইকোর্টে উঠলে আদালতের নির্দেশ ছিল, তিন মাসের মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দিতে হবে। তবে সেবার জয় পেয়েও মেলেনি বকেয়া। উচ্চ আদালতের ডিএ (Dearness Allowance) রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রিভিউ পিটিশন দাখিল করেছিল রাজ্য। যদিও তা খারিজ হয়ে যায়। এরই মাঝে তিনটি রাজ্য সরকারি কর্মচারী সংগঠন রাজ্যের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলার দায়ের করে। সেই মামলার মধ্যেই পাল্টা সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য।

dearness allowance

আরও পড়ুন: টানা ৪৮ ঘণ্টা বৃষ্টি! বৃহস্পতিতে কেমন থাকবে দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া? আবহাওয়ার খবর

সেই ২০২২ সালের নভেম্বর থেকে সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলা চলছে। বর্তমানে ২০২৪ সাল। হাইকোর্টে ডিএ মামলাকারীরা জয় পেয়েছিল। গত ২০২২ সালের ২০ মে হাই কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল যে তিন মাসের মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দিতে হবে। এরপরই রাজ্য সরকার স্পেশাল লিভ পিটিশন দায়ের করে। সেই প্রেক্ষিতেই মামলা শুরু হয়। তারপর থেকে আরও একাধিকবার সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলা আদালতে উঠলেও বারে বারে শুনানি পিছিয়ে গিয়েছে। এবারে ফের শুনানির আশায় দিন গুনছেন সরকারি কর্মীরা।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর