ভারতীয় বায়ুসেনা পুরানো বিমানের যায়গায় নতুন বিমান ক্রয় করার প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে। এই চুক্তি অনুযায়ী, বায়ুসেনা ১১৪ টি লড়াকু বিমান কিনবে। এটা শুধু ভারতের না, গোটা বিশ্বের সবথেকে বড় প্রতিরক্ষা চুক্তি হতে চলেছে। এই প্রতিরক্ষা চুক্তি ১৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি হতে চলেছে। এই চুক্তির জন্য আমেরিকার বোয়িং আর লকহিড মার্টিন, সুইডেনের সাব, ফ্রান্সের দাসল্ট সমেত বিশ্বের সমস্ত বড় প্রতিরক্ষা কোম্পানি গুলোর নাম আছে। বিমানের নির্মাণের জন্য কমপক্ষে ৮৫ শতাংশ অংশীদারি ভারতের থাকবে।
ভারতীয় বায়ুসেনার মিগ-২১ বিমান পুরানো হয়ে গেছে। বার বার ওই বিমান ভেঙে পড়ার কারণে সেটিকে ফ্লাইং কফিন বলা হচ্ছে। যদিও এর মদ্যে কয়েকটি জাহাজের ওয়ারফেয়ার সিস্টেম কে আপগ্রেড ও করা হবে, যার মধ্যে মিগ-২১ বাইসনের নাম দেওয়া হয়েছে। এরপরেও এই বিমানকে শুধুমাত্র ঠেকার কাজ চালানোর বিমানই বলা যায়।
বালাকোট এয়ার স্ট্রাইকের পর ২৭ ফেব্রুয়ারি হওয়া ডগফাইটে এরকমই এক মিগ-২১ বিমানে চরে উইং কম্যান্ডার অভিনন্দন পাকিস্তানের অত্যাধুনিক এফ-১৬ বিমানকে ধ্বংস করেছিলেন। যদিও এরপর ওনার বিমানও দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল।
প্রতিরক্ষা রাজ্য মন্ত্রী শ্রিপদ নাইক সংসদে জানান, এই চুক্তির জন্য প্রাথমিক দামের মূল্যায়ন এবং বায়ুসেনার প্রয়োজনের অন্তিম রুপ দেওয়ার কাজ শুরু হয়ে গেছে। মন্ত্রালয়ও এই প্রক্রিয়াকে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে। ভারতীয় বায়ুসেনা আর নৌসেনার ৪০০ টি সিঙ্গেল আর ডাবল ইঞ্জিনের লড়াকু বিমানের প্রয়োজন।
এই চুক্তি হাসিল করার জন্য, বোয়িং কোম্পানি তাঁদের অত্যাধুনিক এফ-১৮ বিমান ভারতের সামনে পেশ করেছে। আর এর জন্য তাঁরা হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড এবং মহিন্দ্রা ডিফেন্স সিস্টেমের অংশীদারিকে বেছে নিয়েছে। লকহিড মার্টিন এফ-২১ লড়াকু বিমান টাটা গোষ্ঠীর সাথে আর সুইডেনের সাব তাঁদের গ্রিপিন ফাইটার জেটের জন্য গৌতম আদানির সাথে মিলে বানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।