বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মা-বাবাকে হারিয়ে ঠাঁই হয়েছিল সরকারি হোমে। জুটে গিয়েছিল আশ্রয়। কিন্তু ওই যে কথায় আছে ‘যেখানে বাঘের ভয় সেখানেই সন্ধ্যা হয়’। তাই অভিভাবকহীন নিরীহ শিশুদের আশ্রয় দেওয়ার নামেই দিনের পর দিন চলতে থাকে যৌন নির্যাতন (Molestation)। আর এই কাজে যুক্ত ওই সরকারি হোমের তিন কর্মী।
সরকারি হোমেই যৌন লালসার (Molestation) শিকার আড়াই বছরের শিশু
কেরলের একটি সরকারি হোমেরই এক শিশুর মেডিক্যাল পরীক্ষা থেকে সামনে আসে গোটা ঘটনা। মাত্র আড়াই বছরের বয়স ওই একরত্তি শিশু-কন্যার। তাঁর গোপনাঙ্গে স্পষ্ট আঘাতের চিহ্ন। মেডিক্যাল পরীক্ষায় মিলেছে নখের আঁচড়ের প্রমাণও। ওই হোমেরই কর্মীর যৌন লালসার (Molestation) শিকার খুদে। এমনটাই দাবি পুলিশ ও চিকিৎসকদের।
শিশুকন্যাকে নির্যাতনের অভিযোগে হোমের তিন কর্মীর বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে ওই খুদে একা নয়, ওই হোমের আরও একাধিক শিশু কর্মীদের যৌন লালসার শিকার। এই জঘন্য অপরাধের পর পুলিশি জেরায় অভিযুক্তদের সাফাই, শাস্তি দিতে গিয়েই নাকি আড়াই বছরের শিশুকন্যার এমন হাল করেছে তাঁরা।
কিন্তু কীসের শাস্তি? কি এমন অপরাধ ছিল ওই একরত্তির? ঘুমের মধ্যেই বিছানা ভিজিয়ে ফেলেছিল সে। তাঁর শাস্তি দিতেই নাকি এমন নির্যাতন। ‘শাস্তির চোটে’ ক্রমশ অবনতি হতে থাকে শিশুটির শারীরিক অবস্থার। তখনই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখানে পরীক্ষা করতে গিয়েই চমকে ওঠেন চিকিৎসকরা।
আরও পড়ুন: ভারতে দ্রুত কমছে প্রজনন হার! সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য
অতটুকু শিশুর সারা শরীরে নখের আঁচড়। শুধু তাই নয় পরীক্ষা করে দেখা যায়, শিশুটির গোপনাঙ্গেও স্পষ্ট আঘাতার চিহ্ন। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর দেন ওই চিকিৎসক। পুলিশ ও চিকিৎসকদের অনুমান, এক সপ্তাহ আগে ঘটনাটি ঘটেছে।
শিশু সুরক্ষা কমিটির জেনারেল সেক্রেটারি জানিয়েছেন, ওই খুদের এক বোন আছে। দুর্ঘটনায় মা-বাবার মৃত্যুর পর তারা ওই হোমেই থাকছিল। নির্যাতনের ঘটনা সামনে আসতেই ওই সপ্তাহে ডিউটিতে থাকা সমস্ত কর্মীদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।