বাংলা হান্ট ডেস্কঃ যে কোনও শিক্ষার্থীর জীবনের প্রথম ‘বড়’ পরীক্ষা হিসেবে গণ্য করা হয় মাধ্যমিককে। জীবনের প্রথম বোর্ড পরীক্ষা, তাও আবার স্কুলের বাইরে! সব মিলিয়ে কমবেশি প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীর মনেই একটা চাপা উত্তেজনা কাজ করে। সেই পরীক্ষার উত্তরপত্রেই কিনা নম্বর দিতে ভুলে গেলেন পরীক্ষক। এও সম্ভব? কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) জল গড়াতেই এবার বড় নির্দেশ দিলেন বিচারপতি ভট্টাচার্য।
কী নির্দেশ দিল উচ্চ আদালত (Calcutta High Court)?
নন্দীগ্রামের মহম্মদপুর শিবনারায়ণপুর শিক্ষায়তনের ছাত্র পারিজাত মাইতি। ২০২৪ মাধ্যমিক পরীক্ষায় (Madhyamik Exam) ৬৬৬ পেয়েছিল এই মেধাবী ছাত্র। বাংলা থেকে ইংরেজি, অঙ্ক, ভৌতবিজ্ঞান থেকে ইতিহাস, ভূগোল প্রত্যেক বিষয়ে ৯০-এর ওপর নম্বর। অথচ শুধুমাত্র জীবনবিজ্ঞানে পেয়েছে ৮২। আর এই বিষয়েই নাকি ১১ নম্বর দিতে ভুলে গিয়েছেন পরীক্ষক!
জানা যাচ্ছে, নন্দীগ্রামের এই পড়ুয়ার উত্তরপত্রে দেদার কাটাকুটি হয়েছে। হাইকোর্টের বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের (Justice Saugata Bhattacharyya) পর্যবেক্ষণ, ‘উত্তরপত্র দেখে মনে হচ্ছে, পরীক্ষক নম্বর দিতে ভুলে গিয়েছেন। ২টি প্রশ্নে ৪ নম্বর না দেওয়ার বিষয়টি এখনই চোখে পড়ছে’। অভিযোগ, নম্বরশিটে প্রচুর কাটাকুটি করেছেন পরীক্ষক। ৮টি প্রশ্নে ঠিক উত্তর, এদিকে শিটে নম্বর পড়েনি! মাধ্যমিক বোর্ডের রিপোর্ট তলব করেছে আদালত।
আরও পড়ুনঃ ‘আমি কিছু করিনি, যা করেছে…’! ভরা এজলাসে এবার সব ‘ফাঁস’ করে দিলেন পার্থ? তোলপাড় বাংলা
হাইকোর্টের নির্দেশ, জীবনবিজ্ঞানে হেড এক্সামিনারকে নতুন পরীক্ষক দিয়ে ফের নতুন করে ওই ছাত্রের খাতা পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে। পারিজাতের উত্তরপত্র পুনরায় মূল্যায়ন করার পর রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালতের (Calcutta High Court) বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য।
এদিকে জানা যাচ্ছে, নন্দীগ্রামের ছাত্র পারিজাত যদি জীবনবিজ্ঞানে ১১ নম্বর পেয়ে যায় তাহলে সে ২০২৪ সালের মাধ্যমিকের মেধাতালিকায় স্থান করে নিতে পারে। ফলে ফের একবার চলতি বছরের মাধ্যমিকের মেধা তালিকায় বদল আসার সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তরপত্র পুনর্মূল্যায়নের পর কী হয় আপাতত সেটাই দেখার।