বাংলা হান্ট ডেস্ক: প্রাকৃতিক তেল থেকে শুরু করে খনিজ গ্যাসের ক্ষেত্রে লগ্নি আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে বর্তমানে তৎপর হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। গত অগাস্ট মাসেই মোদী সরকারের তরফে তেল (Natural Gas) ও গ্যাস খনন এবং উৎপাদনের আইনটি সংশোধনের লক্ষ্যে রাজ্যসভায় বিল পেশ করা হয়েছিল। এমতাবস্থায় কত মঙ্গলবার সেই তেলক্ষেত্র (নিয়ন্ত্রণ এবং উন্নয়ন) সংশোধনী বিল, ২০২৪ পাশ হয়েছে।
তেল এবং গ্যাসে (Natural Gas) আসবে বিপুল লগ্নি:
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, মূলত লগ্নি আকৃষ্ট করার লক্ষ্যেই এই নতুন আইনে পেট্রোপণ্য সংক্রান্ত কাজকর্মকে খননের থেকে পৃথক করা হয়েছে। যার জন্য শুরু করা হয়েছে পেট্রোলিয়াম লিজ এবং জরিমানার বিষয়ও। খনিজ তেলের ব্যপ্তিকে প্রসারিত করে তাতে প্রাকৃতিক গ্যাস (Natural Gas) থেকে শুরু করে শেল গ্যাস, কোল বেড মিথেন এবং অপরিশোধিত তেল সহ আরও অনেক কিছুকে যুক্ত করা হয়েছে।
এদিকে, এই বিলের পরিপ্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক তরজা। এই বিলটিকে স্থায়ী কমিটিতে পাঠানোর দাবি তোলা হয় বিরোধীদের একাংশের তরফে। যেখানে অভিযোগ তোলা হয় এর ফলে রাজ্যের অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। যদিও, বিষয়টির পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন তেলমন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরী।
আরও পড়ুন: দীর্ঘ “নাটক’-এর অবসান! যুদ্ধে জিতে JioHotstar ডোমেইন নিজের কাছেই রাখলেন আম্বানি
তিনি এই বিষয়ে আশ্বস্ত করে জানিয়েছেন যে, “এটা কখনোই ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া নয়। তেল এবং গ্যাস (Natural Gas) উৎপাদনের ক্ষেত্রে প্রচুর লগ্নি ও সময় লাগে। তাই, দেশীয় সংস্থাগুলি পাশাপাশি বিদেশি লগ্নিকারীদেরও ভরসা প্রদানের ক্ষেত্রে এই পরিবর্তন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তারা যাতে এই দেশে সকলের সুবিধার জন্য ব্যবসা করে এই বিষয়টি এবার স্পষ্ট হবে।”
আরও পড়ুন: পাত্তা পেলনা বিতর্ক! এবার ফুল ফর্মে আদানি, কিনতে চলেছেন এই বড় কোম্পানি
এদিকে, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম “এক্স”-এ একটি পোস্টের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এই সংশোধনীগুলিকে “ঐতিহাসিক” হিসেবে বিবেচিত করে জানান এগুলি প্রত্যক্ষভাবে ভারতের শক্তির খাতকে শক্তিশালী করবে। এবং আরও বাড়িয়ে তুলবে। সরকারের মতে, বিশ্বব্যাপী শক্তির ল্যান্ডস্কেপ এবং হাইড্রোকার্বন প্রেক্ষাপট পরিবর্তিত হওয়ায়, বর্তমান পরিস্থিতিকে মাথায় রেখে এবং জাতীয় অগ্রাধিকার, ব্যবসা করার সহজলভ্যতা ও ভারতের ইএন্ডপি কাঠামোকে বিশ্বব্যাপী ব্যবস্থার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ করার জন্য আইনটি পরিবর্তন করার প্রয়োজন ছিল।