বাংলা হান্ট ডেস্কঃ অশান্ত বাংলাদেশ! সেই অশান্তির আঁচ এসে পড়েছে এপার বাংলাতেও। পড়শি দেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের দুরবস্থা দেখে ইতিমধ্যেই রক্ত গরম হয়ে উঠছে এপার বাংলার মানুষদের। ভারতের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মঞ্চেও তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন বাংলাদেশের ইউনুস সরকার।
কলকাতায় সভা করার অনুমতি দিল হাইকোর্ট (Calcutta High Court)?
অর্থনৈতিক দিক দিয়ে বাংলাদেশ ভারতের ওপর অনেকাংশে নির্ভরশীল। তাই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর মতো আরও অনেকেই বাংলাদেশকে ‘টাইট’ দিতে সেইসমস্ত পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর এই অত্যাচার যে চুপ করে মেনে নেওয়া হবে না, সেকথা বোঝাতেই, বাংলাদেশের অশান্তির ঘটনার প্রতিবাদে কলকাতায় সভা করতে চলেছে একটি সংগঠন।
এই সভা করার অনুমতি চেয়ে আগেই পুলিশের কাছেও আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু তাতে লাভের লাভ কিছুই হয়নি। তাই এবার কলকাতায় সভা করার অনুমতি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা।
জানা যাচ্ছে, ওই সংগঠনটি আগামী ১০ ডিসেম্বর ধর্মতলার ডোরিনা ক্রসিংয়ে অবস্থান করার আবেদন জানিয়েছে। এদিন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ মামলা দায়েরের অনুমতিও দিয়েছেন। তবে জানা যাচ্ছে, আগামী সোমবার অর্থাৎ ৯ ডিসেম্বর এই মামলার শুনানি হবে। প্রসঙ্গত জুলাই মাস থেকে আগস্টের শুরু পর্যন্ত কোটা বিরোধী ছাত্র আন্দলোনকে কেন্দ্র তোলপাড় হয়ে গিয়েছিল গোটা বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতির আবহেই বিপুল শিক্ষক নিয়োগ, পশ্চিমবঙ্গে একলাফে ২৫০০ শূন্যপদে চাকরি
প্রচন্ড গণ রোষের মুখে পড়ে, তথা বাংলাদেশের ছাত্র যুবদের গণভবন অভিযানের চোটে ছাত্র আন্দোলন পরিণত হয় গণ অভ্যুত্থানে। যার ফলে গত ৫ আগস্ট চাপে পড়েই প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করে বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে আসেন শেখ হাসিনা। হাসিনার সরকারের পতনের পর থেকেই বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার সীমা ছাড়াতে থাকে।
একাধিক বাড়ি ভাঙচুর, আগুন লাগিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটে ওপার বাংলায়। জানা যায়,বাংলাদেশের গণ আন্দোলনে কমপক্ষে ৭০০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন ৩ হাজার জনেরও বেশি। যার জেরে আন্তর্জাতিক মহলে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয় বাংলাদেশের অন্তবর্তী ইউনুস সরকারকে।