বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজিকর কান্ডের আবহেই জয়নগরের এক নাবালিকাকে ধর্ষণ (Rape)-খুনের ঘটনায় তেতে উঠেছিল গোটা এলাকা। এই ঘটনার মাত্র দু’মাসের মাথায় এই নাবালিকার ধর্ষণ-হত্যাকান্ডের ঘটনায় ফাঁসিরসাজা ঘোষণা করল আদালত। চতুর্থ শ্রেণীর ওই শিশুকে ধর্ষণ(Rape)-খুনের ঘটনায় মাত্র ৬২ দিনের মাথায় অভিযুক্তকে সাব্যস্ত করেছে বারুইপুর পকসো আদালত।
জয়নগরের চতুর্থ শ্রেণীর পড়ুয়ার ধর্ষণ (Rape)-খুনের মামলায় ফাঁসির সাজা
বৃহস্পতিবারই তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। আর তারপর দিন অর্থাৎ আজ শুক্রবার অভিযুক্তের ফাঁসির সাজা ঘোষণা করা হয়েছে। গত ৪ অক্টোবর রাতে জয়নগরের মহিষমারি এলাকার জলাভূমি থেকে ন’বছরের একটি শিশুর দেহ উদ্ধার করেছিল। ঐদিন বিকেলে টিউশন পড়তে যাওয়ার সময় থেকেই নিখোঁজ ছিল সে।
টিউশনে পড়তে যাওয়ার সময় রাস্তা থেকেই হাত ধরে তাকে টেনে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এরপর ধর্ষণ করে সেদিনই খুন করে দেওয়া হয় নাবালিকাকে। আর জি কর আবহে ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই প্রচন্ড ক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন এলাকাবাসী। মাত্র ন’বছরের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রীকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল গোটা এলাকা।
পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে স্থানীয় ফাঁড়িতেও আগুন ধরিয়ে দিয়েছিলেন ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী। সেসময় পুলিশকে ঝাঁটাপেটাও করেছিলেন গ্রামবাসীরা। তবে এই নাবালিকা ধর্ষণ হত্যাকান্ডে পুলিশের ভূমিকা ছিল চোখে পড়ার মতো। ৪ অক্টোবর রাতে দেহ উদ্ধার হওয়ার পর দিনই অর্থাৎ ৫ অক্টোবর গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত মুস্তাকিন সর্দারকে।
আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতির আবহেই বিপুল শিক্ষক নিয়োগ, পশ্চিমবঙ্গে একলাফে ২৫০০ শূন্যপদে চাকরি
তারপর দ্রুত গতিতে এগোতে থাকে তদন্ত। দু’দিনের মধ্যেই গত ৭ অক্টোবর ঘটনার তদন্তে গঠন করা হয় সিট। তারপরেই ৩০ অক্টোবর চার্জশিট পেশ করে পুলিশ। শুক্রবার অভিযুক্ত মুস্তাকিন কে আদালতে তোলার সময় সংবাদমাধ্যমের দিকে তাকিয়ে সে বলে, ‘আমি কিছু করিনি আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।’
তার কাছে জানতে চাওয়া হয় কে সে? জবাবে সে বলে,’ পার্টির তরফে ফাঁসানো হয়েছে।’ সূত্রের খবর এদিন আদালতে দু’ঘণ্টার সাওয়াল জবাব চলে। মোট ৩৬ জনে সাক্ষী ছিলেন। জানা যাচ্ছে,পকসো আইনে, খুনের মামলা ও ধর্ষণ-খুনের মামলায় মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। এছাড়াও অপহরণের ধারায় যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও প্রমাণ লোপাটের জন্য ৭ বছরের কারাদন্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে অভিযুক্ত মুস্তাকিন কে।