গোপন নজরদারি চালাতে সীমান্তে ড্রোন মোতায়েন বাংলাদেশের, হাই অ্যালার্ট জারি ভারতে

বাংলাহান্ট ডেস্ক : বাংলাদেশে (Bangladesh) উত্তপ্ত পরিস্থিতির মাঝেই ভারত বিরোধিতা চরম আকার ধারণ করেছে। সম্প্রতি জানা গিয়েছিল, চিন এবং পাকিস্তানের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার পরিকল্পনা করছে ইউনূস সরকার। এবার একেবারে গুপ্তচরবৃত্তি শুরু করল বাংলাদেশ (Bangladesh)। সূত্রের খবর বলছে, সীমান্তে গুপ্তচর ড্রোন মোতায়েন করেছে ইউনূসের দেশ। গোপনে গতিবিধি লক্ষ্য করা হচ্ছে ভারতের। আর এই খবর মিলতেই কড়া অ্যালার্ট জারি হয়েছে দেশে।

ভারত সীমান্তে ড্রোন মোতায়েন বাংলাদেশের (Bangladesh)

সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, পশ্চিমবঙ্গে ভারত বাংলাদেশ (Bangladesh) সীমান্ত অঞ্চলে গুপ্তচর ড্রোন মোতায়েন করেছে প্রতিবেশী দেশ। বায়রাক্তার টিবি২ নামের এই ড্রোন তুরস্ক থেকে নিয়ে আসা হয়েছে বলে খবর। সীমান্তে ড্রোন মোতায়েন করার বিষয়টি স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ (Bangladesh) সরকারের তরফেও। তাদের অবশ্য সাফাই, দেশের নিরাপত্তার কারণেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

কী বিশেষত্ব রয়েছে এই ড্রোনের: যেমনটা জানা যাচ্ছে, চলতি বছরেই তুরস্ক থেকে ১৬ টি ড্রোন আনিয়েছে বাংলাদেশ (Bangladesh)। এর মধ্যে ৬ টি ড্রোন সীমান্তে মোতায়েন করা হয়েছে। রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, ৭৬০০ মিটার উচ্চতায় উড়তে পারে এই ড্রোন। ঘন্টায় এর গতি ২২০ কিলোমিটার, আর সর্বোচ্চ ৩০০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা। শত্রু পক্ষের উপরে নজরদারি চালানোর পাশাপাশি আত্মঘাতী হামলাও চালাতে পারে এই ড্রোন।

আরো পড়ুন : সময়ের আগেই অবসর, আধাসামরিক বাহিনীতে ক্রমশ বাড়ছে আত্মহত্যার হারও! সামনে এল চাঞ্চল্যকর কারণ

অ্যালার্ট জারি ভারতে: উল্লেখ্য, ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধেও ব্যবহৃত হয়েছে এই বিশেষ ড্রোন। এটি ব্যবহার করেই রাশিয়ার অস্ত্রের গুদাম, কিছু কমান্ড সেন্টার সহ মস্কভা যুদ্ধজাহাজেও হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। এমনকি তার আগে সিরিয়া এবং লিবিয়ার যুদ্ধেও ব্যবহার হয়েছে এই ড্রোন। বলা বাহুল্য, সীমান্তে এই ড্রোনের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করেই হাই অ্যালার্ট জারি হয়েছে ভারতে।

আরো পড়ুন : ভারতের পতাকা মাথায় তুলে চাইতে হবে ক্ষমা! বাংলাদেশ বয়কটের ডাক দিল অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা

অন্যদিকে পাকিস্তানের সঙ্গেও হাত মিলিয়েছে বাংলাদেশ (Bangladesh)। প্রচুর পরিমাণে অস্ত্র নিয়ে পণ্যবাহী জাহাজ আসছে বলে খবর। ভারতের বিরুদ্ধে এই গোপন ষড়যন্ত্রে চিনের মদতও রয়েছে বলে আভাস মিলেছে। এমতাবস্থায় সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়ানোর দিকে নজর দিচ্ছে ভারত।