জেল থেকে বেরোতেই নয়া অভিযোগ! ফের বিপাকে নিয়োগ দুর্নীতির জীবনকৃষ্ণ? জোর শোরগোল

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন মুর্শিদাবাদের বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা (Jiban Krishna Saha)। এক বছরেরও অধিক সময় জেলবন্দি থাকার পর গত মে মাসে জামিন পান তিনি। এবার সেই বিধায়কের বিরুদ্ধেই ফের নয়া অভিযোগ উঠল। ইতিমধ্যেই জল গড়িয়েছে থানা অবধি।

  • জীবনকৃষ্ণর (Jiban Krishna Saha) বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ!

নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় গত বছর এপ্রিল মাসে কেন্দ্রীয় এজেন্সির হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক। চলতি বছর মে মাসে তাঁর জামিন মঞ্জুর করে সুপ্রিম কোর্ট। এরপর কয়েক মাস যেতে না যেতেই ফের নতুন অভিযোগ উঠল জীবনকৃষ্ণের বিরুদ্ধে। বালির ঘাট পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তোলাবাজির অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে।

বড়ঞা থানার বেলগ্রাম নিবাসী মহম্মদ সালাউদ্দিন শেখ জীবনকৃষ্ণর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ এনেছেন। তাঁর দাবি, ২০২২ সালে বালির ঘাট পাইয়ে দেওয়ার নাম করে তাঁর থেকে ১ লক্ষ ২০,০০০ টাকা নিয়েছিলেন তৃণমূল (Trinamool Congress) বিধায়ক। পরবর্তীতে নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেফতার হন তিনি। জেলবন্দি থাকায় নিজের প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পারেননি। এখন জামিন পেয়ে জীবনকৃষ্ণ বাড়ি ফিরলেও তাঁর টাকা তাঁকে ফেরত দিচ্ছে না বলে অভিযোগ সালাউদ্দিনের।

আরও পড়ুনঃ ১৬ ডিসেম্বরই…! আরজি কর কর্তৃপক্ষকে বড় নির্দেশ দিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট

শনিবার এই নিয়ে বড়ঞা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। জীবনকৃষ্ণর থেকে নিজের টাকা ফিরে পেতে আইনের দ্বারস্থ হয়েছেন ওই প্রতিবন্ধী যুবক। এদিকে তৃণমূল (TMC) বিধায়ক যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। রাজনৈতিক চক্রান্ত এবং ভিত্তিহীন অভিযোগ বলে দাবি করেন তিনি।

jiban krishna saha

জীবনকৃষ্ণের (Jiban Krishna Saha) কথায়, ‘শুনছি ২০২২ সালের ঘটনা। তবে এমন কিছুই হয়নি। আমি বরাবর অবৈধ বালি ঘাটের বিরুদ্ধে। কারণ এই অবৈধ বালি ঘাটের বিষয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রত্যেকটি জেলার অফিসারদের দেখার নির্দেশ দিয়েছেন। আমি এই রকম অর্থনৈতিক লেনদেনের পক্ষে নই। এটি একটি রাজনৈতিক চক্রান্ত’।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

সম্পর্কিত খবর