বাংলা হান্ট ডেস্কঃ লোকসভা ভোটের পর থেকে বেশ কয়েক মাস ধরে বেতন বন্ধ দুই স্কুল কর্মীর। কর্তব্যে গাফিলতি কিংবা অন্য কোনও অভিযোগে তাঁদের সাসপেন্ড করা হয়নি। কোনও বিভাগীয় তদন্তও হয়নি। অথচ মিলছে না বেতন! ইতিমধ্যেই এই জল গড়িয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) অবধি। এবার এই মামলাতেই বড় নির্দেশ দিয়ে দিল উচ্চ আদালত।
স্কুল কর্মীদের মামলায় কী রায় দিল হাইকোর্ট (Calcutta High Court)?
বহরমপুর পুরসভা পরিচালিত বিদ্যালয়ের কর্মী হলেন শিবানী সাহা এবং গীতা চৌধুরী। লোকসভা ভোটের পর থেকে বেশ কয়েক মাস ধরে তাঁদের বেতন দেওয়া হচ্ছে না। এই নিয়ে বেশ কয়েকবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) চিঠি দিয়েছেন কংগ্রেস নেতা তথা বহরমপুরের প্রাক্তন সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী। কিন্তু তাতেও সমস্যা মেটেনি।
হকের বেতনের দাবিতে এরপর কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হন শিবানী এবং গীতা। উচ্চ আদালতের বিচারপতি কৌশিক চন্দ্র স্কুলের দুই কর্মীর বেতন মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এর পাল্টা ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় পুরসভা কর্তৃপক্ষ। এবার ডিভিশন বেঞ্চের তরফ থেকেও অবিলম্বে বেতন মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ বহাল রাখা হল।
আরও পড়ুনঃ নিয়োগ দুর্নীতিতে বহুদিন জেলবন্দি! এরই মাঝে কালীঘাটের কাকুকে নিয়ে বড় খবর, কিছুক্ষণেই এসপার-ওসপার?
শিবানী এবং গীতার তরফের আইনজীবী প্রতীপ চট্টোপাধ্যায় বলেন, তাঁর মক্কেলদের বিরুদ্ধে পুরসভা (Berhampore Municipality) কোনও বিভাগীয় তদন্ত করেনি। কর্তব্যে গাফিলতি কিংবা অন্য কোনও অভিযোগে তাঁদের সাসপেন্ডও করা হয়নি। অথচ লোকসভা ভোটের পর থেকে বেশ কয়েক মাস ধরে দু’জনের বেতন বন্ধ।
এই মামলার শুনানির পর হাইকোর্টের বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদি এবং বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, শিবানী এবং গীতার বেতন আটকে রাখার কোনও আইনি ভিত্তি নেই। পুরসভা যদি চায় তাঁদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী বিভাগীয় তদন্ত করতে পারে। তবে দুই কর্মীর বেতন অবিলম্বে মিটিয়ে দিতে হবে।
হাইকোর্টের (Calcutta High Court) এই নির্দেশের পর ওই দুই কর্মীর বেতন মিটিয়ে দেওয়ার জন্য কিছু সময় চেয়ে নেন পুরসভার আইনজীবী। এক সপ্তাহের সময় চাওয়া হয়েছে বলে খবর। এদিকে শিবানী এবং গীতার বেতন আটকে রাখার বিষয়ে বহমপুরের প্রাক্তন সাংসদ অধীর বলেন, ‘তফসিলি জাতিভুক্ত দু’জন সাধারণ মহিলা কর্মীর মাইনে বন্ধ করে সরকারি টাকায় বীরত্ব দেখাচ্ছে মা মাটি মানুষের সরকার! এরা এর পরে সুপ্রিম কোর্টেও যেতে পারে!’