বাংলাহান্ট ডেস্ক : আজ আমরা যে মহিলা উদ্যোগপতির (Entrepreneur) কথা জানতে চলেছি তিনি নিজের জীবন শুরু করেছিলেন গ্যারেজ থেকে। তবে নিজের নিষ্ঠা ও পরিশ্রমের মাধ্যমে আজ তিনি হয়ে উঠেছেন দেশের অন্যতম ধনী মহিলা। বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী এই মহিলার সম্পত্তির পরিমাণ সাড়ে তিন বিলিয়ন ইউরো বা ভারতীয় মুদ্রায় ২৯ হাজার ৫০ কোটি টাকা।
আরোও পড়ুন : এক স্টেশন থেকে আরেক প্ল্যাটফর্ম; পায়ে হেঁটে জাস্ট কয়েক মিনিট! দেখা মিলবে কিন্তু এই বাংলাতেই
বায়োকোনের প্রতিষ্ঠাতা কিরণ মজুমদার সাউ (Kiran Majumder Shaw) ১৯৫৩ সালের ২৩ মার্চ কর্ণাটকের বেঙ্গালুরুতে (Bengaluru) জন্মগ্রহণ করেন। বেঙ্গালুরু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাণিবিদ্যায় স্নাতক উত্তীর্ণ হওয়ার পর অস্ট্রেলিয়া চলে যান উচ্চশিক্ষা লাভের জন্য। অস্ট্রেলিয়ায় পড়াশোনার পাঠ চুকিয়ে ভারতে এসে তিনি চেয়েছিলেন সুরা শিল্পে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে।
কিরণ মজুমদার সাউয়ের (Kiran Majumder Shaw) উত্থান
তবে যে সময়ের কথা আমরা বলছি সেই সময়ে সুরা শিল্পে ছিল পুরুষদের একচ্ছত্র অধিকার। দিল্লি, বেঙ্গালুরুর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাই কিরণের আবেদন একেবারেই নাকচ করে দেয়। তবে আইরিশ নাগরিক লেস অচিনক্লসের অনুপ্রেরণা জীবন বদলে যায় কিরণের (Kiran Majumder Shaw)। আয়ারল্যান্ডের বায়োকন বায়োকেমিক্যালসে ৬ মাসের একটি প্রশিক্ষণে ভর্তি হন কিরণ।
ভারতে ফিরে ১৯৮৭ সালে তিনি বায়োকন বায়োকেমিক্যালসের শেয়ারে বিনিয়োগ করেন। মাত্র ১০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে শুরু করেন বায়োকন ইন্ডিয়া। পেঁপের নির্যাস থেকে এনজাইম তৈরি করে নিজের পণ্য রপ্তানি করতে শুরু করেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপে। তারপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি কিরণকে। পরবর্তীকালে বিয়ার পরিস্রাবনে ব্যবহৃত আইসিংগ্লাস তৈরি শুরু করে কিরণ মজুমদার সাউয়ের সংস্থা।
যদিও প্রথমদিকে একাধিক বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছিল কিরণকে। সেই সময় অনেক ব্যাংক তাঁকে ঋণ দিতেও অস্বীকার করে। তবে নিজের বুদ্ধিমত্তা ও ব্যবসায়িক কৌশলের জেরে কিরণ মজুমদার সাউয়ের সংস্থা হয়ে উঠেছে ভারতের সবচেয়ে বড় বায়োফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি। বায়োকোন ইন্ডিয়ার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকারও বেশি।